কানাইঘাট সীমান্তে পড়ে থাকা ২ বাংলাদেশির মরদেহ নিয়ে যা বলছে বিএসএফ

Published: 5 November 2021

পোস্ট ডেস্ক :


সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে দুই বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে থাকার ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এই ঘটনা ভারতের মধ্যে হয়নি। মরদেহগুলো বাংলাদেশের অংশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিএসএফের ওপর যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। মরদেহগুলো একটি নির্জন স্থানে উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে কোনো ভারতীয় যাতায়াত করে না। সেইসঙ্গে ঘটনাটি ঘটেছে আন্তর্জাতিক সীমারেখা থেকে ১০ মিটার দূরে বাংলাদেশের অংশে।

বিবৃতি আরও বলা হয়, মনে হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি বাংলাদেশে ঘটেছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে আন্তর্জাতিক সীমারেখার কাছে মরদেহগুলো কেউ ফেলে গেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) মরদেহ দুটি নোম্যান্সল্যান্ডে পড়ে থাকতে দেখা গেছে বলে সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি বিএসএফ এর নজরে এলে তাদের পক্ষ থেকে এ বিবৃতি দেওয়া হয়।

এদিকে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ডোনা সীমান্ত এলাকায় পাহারা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ। সূত্র মতে, বিজিবি-বিএসএফ‘র মধ্যকার আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়নি।

এদিকে, গত দুই দিনেও মরদেহ উদ্ধার না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোর মানুষ। দুটি বাজারে বিকেলে ও সন্ধ্যায় দুই দফা বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী দ্রুত মরদেহ উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে যেকোনো মূল্যে লাশ উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনরা।

নিহত কানাইঘাট উপজেলার এড়ালিগুল গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আসকর আলী ও একই গ্রামের আব্দুল হান্নানের পুত্র আরিফ হোসেনের স্বজনদের দাবি, মঙ্গলবার বিকেলে দুইজন বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর তারা আর বাড়ি ফেরেননি। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে তারা জানতে পেরেছেন, মঙ্গলবার রাতে ডোনা সীমান্ত দিয়ে দুইজন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উখিয়াং এলাকায় অনুপ্রবেশ করে। এ সময় বিএসএফ’র গুলিতে তারা নিহত হন। পরে তাদের মরদেহ নোম্যান্সল্যান্ডে এনে ফেলে রাখা হয়।