কমলগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যার দুই আসামি র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত
কমলগঞ্জ সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে র্যাবের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার (৭ নভেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা কমলগঞ্জে ব্যবসায়ী নাজমুল হাসানকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন- তোফায়েল মিয়া ও সুধাংশু দত্ত।
র্যাব-৯ এর শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের কমান্ডার বসু দত্ত চাকমা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ ভোরে মিরতিঙ্গা চা বাগান এলাকায় র্যাবের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। পরে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।’
নিহতদের পরিচয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা পরিচয় নিশ্চিত হতে কাজ করছি। তবে কেউ কেউ বলছেন, এরা কমলগঞ্জের ব্যবসায়ী নাজমুল হত্যা মামলার আসামি। আমরা পরিচয় যাচাই-বাচাই করে নিশ্চিত হবো। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
কমলগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহেল রানা বলছেন, নিহতদের একজন ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২নং আসামি। নিহত অপর ব্যক্তি সুধাংশু দত্তের নাম এজাহারে নেই।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে নিহত একজন নাজমুল হত্যার ২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি তোফায়েল মিয়া। তবে নিহত সুধাংশ দত্তের নাম মামলার এজাহারে নেই। ’
শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পরিদর্শক মো. জামাল সংবাদমাধ্যমকে জানান, শ্রীমঙ্গল র্যাব ক্যাম্প থেকে দুটি লাশ আজ রোববার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের চৈত্রঘাটে মাইক্রোবাসযোগে একদল সন্ত্রাসী এসে প্রকাশ্যে কোপায় ব্যবসায়ী নেতা নাজমুল হাসানকে। গুরুতর অবস্থায় তাকে সিলেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারা যান।
এ ঘটনার পরদিন নাজমুল হাসানের বড় ভাই শামসুল হক বাদী হয়ে ১৪ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, প্রকাশ্যে কোপানোর সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরায় হয়ে যায়। ফুটেজে দেখা যায়, কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে আসা ৯ ব্যক্তি নাজমুলকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে নিজ বাড়ির সামনে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নাজমুল। তখন তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায় তারা।
ওই সিসিটিভি নাজমুলের ব্যক্তিগত অফিসে লাগানো ছিল।
এদিকে, ঘটনার পর গুরুতর আহত নাজমুল ফেসবুক লাইভে এসে হামলাকারী চারজনকে চেনার কথা জানান। তিনি দাবি করেন, স্থানীয় তোফায়েল, রাসেল, মাসুদ ও তোফাজ্জল হামলায় জড়িত। ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় তার ওপর হামলা হয়েছে। তিনি মারা গেলে খুনিদের যেন সাজা হয়, সেই দাবিও জানিয়েছিলেন নাজমুল।