বড়লেখায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাছ বিক্রির অভিযোগ

Published: 13 November 2021

বড়লেখা প্রতিনিধি :

বড়লেখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মিতব্য একাডেমিক ভবনের বেইজ বসানোর জন্য ৮টি গাছ কাটার প্রয়োজন দেখা দিলে প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার দাস সুকৌশলে ১০টি গাছ বিক্রির অনুমতি নিয়ে স্কুলের পরিবেশ বান্ধব অতিরিক্ত ৩টি গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। অবৈধভাবে গাছ কেটে নেওয়ার মিশন সফল করতে ইতিমধ্যে সুকৌশলে তিনি ২টি গাছের মোতা স্কুলপ্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে ফেলেছেন। এ নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বড়লেখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারতলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে। চলিত বছর ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করতে গেলে পুরাতন ভবন অপসারণ ও সামনের ৮টি গাছ কাটার প্রয়োজন দেখা দেয়। কিন্তু সুচতুর প্রধান শিক্ষক স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটিকে দিয়ে ভবনের বেইজ বসানোর নামে ১০টি গাছ বিক্রির ব্যবস্থা নিতে রেজুলেশন করেন। চিঠিসহ যার কপি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়। বেইজ নির্মাণের সমস্যার কথা উল্লেখ করে শিক্ষা অফিসারের চিঠির প্রেক্ষিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা গাছের পরিমাপ ও মূল্য নির্ধারণ করে দিলে গাছগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়। এদিকে প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার দাসের স্কুলের পরিবেশ বান্ধব অতিরিক্ত ৩টি গাছ বিক্রির ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তিনি কাটা গাছের দুইটি মোতা ইতিমধ্যে সুকৌশলে সরিয়ে ফেলেছেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান জানান, স্কুলের নতুন বিল্ডিংয়ের বেইজ নির্মানের জন্য স্কুলের গাছ কাটার প্রয়োজনের কথা প্রধান শিক্ষক সভায় উত্থাপন করেন। তিনি ১০টি গাছ বেইজের সমস্যা করবে বলায় তা নিলামে বিক্রির রেজুলেশন করা হয়। পরিবেশবান্ধব গাছ বিক্রির কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া অতিরিক্ত গাছ বিক্রির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিবেন।

প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার দাস জানান, বেইজ নির্মাণের সমস্যা ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অতিরিক্ত ৩টি গাছ বিক্রি করেছেন। কাটা গাছের মোতা সরিয়ে ফেলার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।