লন্ডনে এমকিউএম নেতা আলতাফ হোসেনের ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের’ বিচার শুরু

Published: 1 February 2022

পোস্ট ডেস্ক :


পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশভিত্তিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) নেতা আলতাফ হোসেনের ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের’ বিচার শুরু হয়েছে। লন্ডনের কিংস্টন-আপন-টেমস ক্রাউন কোর্টে আলতাফ হোসেনের উপস্থিতিতে সোমবার বিচার শুরু হয়। এটি ছিল একটি সন্ত্রাসবাদের অপরাধকে কেন্দ্র করে তার বিচারের প্রথম দিন।

২০১৬ সালের ২২ আগস্ট যুক্তরাজ্য থেকে পাকিস্তানে তার অনুসারীদের কাছে প্রচারিত এক জ্বালাময়ী বক্তৃতায় সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে।

স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড তদন্ত শুরু করার তিন বছর পর ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে এর আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি পরে জামিনে মুক্তি পান। যুক্তরাজ্যে দেওয়া ওই বক্তৃতায় আলতাফ করাচিতে সহিংসতায় উসকানি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
আলতাফ ব্রিটিশ সন্ত্রাসবাদ আইন ২০০৬-এর ধারা ১ (২)-এর আওতায় দায়ের করা অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

৬৮ বছর বয়সী এ নির্বাসিত নেতাকে আদালতে আত্মবিশ্বাসী এবং চনমনে দেখা যায়। লন্ডনে থাকা দলীয় কর্মী এবং আত্মীয়রা ঘিরে থাকা অবস্থায় তিনি আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। গাড়ি থেকে নেমে আলতাফ সাংবাদিকদের সঙ্গে অল্প সময় কথা বলেন। এমকিউএম নেতা বলেন, ‘ব্রিটিশ বিচারব্যবস্থার ওপর তার বিশ্বাস আছে। তবে বিচারের বিষয়ে মন্তব্য করবেন না, কারণ এটি বিচারাধীন বিষয়।
আলতাফ হুইলচেয়ারে করে আদালতে প্রবেশ করেন।

আলতাফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আমার ৪৫ বছরের সংগ্রামী জীবনে বহুবার এই ধরনের অসুবিধা এবং পরীক্ষা সহ্য করেছি। …আল্লাহ আমাকে শক্তি দিয়েছেন এবং আমি অবিচল আছি। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখেও আমি হতাশ হইনি। আজও হতাশ নই। সমর্থকদের এই কঠিন সময়ে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি আমি। ঐক্যবদ্ধ থাকুন এবং প্রার্থনা করুন। ’

এমকিউএমের প্রতিষ্ঠাতা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর বন্দরনগরী করাচির সমৃদ্ধি ও শান্তির জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।

১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর ভারত থেকে পাকিস্তানে চলে যাওয়া মুসলিম শরণার্থীদের (মুহাজির) দল এমকিউএম। আলতাফই এর প্রতিষ্ঠাতা। রাজনৈতিক কারণে তিনি ১৯৯০-এর দশকের শুরু থেকে লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে বসবাস করছেন। একপর্যায়ে তাকে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। লন্ডন থেকে আলতাফ মাতৃভূমির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকাই পালন করছেন। প্রযুক্তির সহায়তায় করাচিতে সমর্থকদের কাছে নিয়মিত বক্তৃতা দেন তিনি।