‘ভারতীয় সেনাদের তাড়ায় পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল ৩৮ চীনা সৈন্যের’

Published: 3 February 2022

পোস্ট ডেস্ক :


২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। এদিকে চীন বরাবরই দাবি করে আসছিল, এই সংঘর্ষে তাদের মাত্র চার জন সেনা নিহত হয়েছে। তবে এবার ওই সংঘর্ষ নিয়ে সংঘর্ষ নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্র ‘দ্য ক্ল্যাক্সন’।

সংবাদপত্র এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই সংঘর্ষে ৩৮ জন চীনা সেনার মৃত্যু হয়েছিল গালওয়ান নদীর বরফ শীতল পানিতে ডুবে। সংঘর্ষে নিহত হন আরও চার সেনা। সেদিন চীনের মোট ৪২ জন সেনার মৃত্যু হয় বলে দাবি করেছে দ্য ক্ল্যাক্সন।

দ্য ক্ল্যাক্সনের সম্পাদক অ্যান্টনি ক্ল্যান ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, একটি অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে ২০২০ সালের ১৫ জুন সংঘর্ষ শুরু হয়। সীমান্তে ‘বাফার জোন’ নির্মাণের কাজ শুর করে চীন। ৬ জুন ৮০ জন পিএলএ সৈন্য ভারতের নির্মিত সেতুটি ভেঙে ফেলতে আসে। তবে সেই সময় আলোচনার মাধ্যমে এক রকম সমাধান হয়। ঠিক হয় ‘বাফার জোন’ অতিক্রম করে চীনা সেনা ফিরে যাবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি চীন।

এ রকম উত্তেজনার মধ্যে ১৫ জুন বিতর্কিত এলাকা পরিদর্শন করতে যান কর্নেল ভারতের সন্তোষবাবু । যেখানে আগে কর্নেল কি ফ্যাবাওয়ের নেতৃত্বে চীনা সেনা সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

দ্য ক্ল্যাক্সনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হঠাৎ ফ্যাবাওয়ে ভারতীয় সেনাকে আক্রমণের নির্দেশ দেয় নিজের বাহিনীকে। সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাবাওয়েকে আটক করে ভারতীয় সেনা। কর্নেলকে বাঁচাতে পিএলএ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার চেন হংজুন এবং সৈনিক চেন জিয়াংরং ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এই সময়েই স্টিলের পাইপ, কাঁটা লাগানো লাঠি দিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের উপরে হামলা চালায় চীনা সেনা। তবে এই সংঘর্ষের সময় তিন জন চীনা সেনার মৃত্যু হয় বলে দ্য ক্ল্যাক্সনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

ভারতীয় সেনার পালটা আক্রমণের মুখে পালানোর নিজদের এলাকায় ফিরতে অন্ধকার রাতে বরফ শীতল পানির নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হয় চীনা সেনারা। সেই সময়েই গালওয়ান নদীতে ডুবে মৃত্যু হয় ৩৮ চীনা সেনার।