মাধবপুরে লোকনাথ উচচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

Published: 6 February 2022

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :


হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান আদাঐর লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ নাছিমা আক্তারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ অলিউর রহমান জেলা প্রশাসক বরাবর নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আদাঐর লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯১১ ইং সনে প্রতিষ্টালগ্ন থেকে সুনামের সহিত চলে আসছে। কিন্তু মোছাঃ নাছিমা আক্তার এই
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেক বিদ্যালয়ের কার্যক্রমে উদাসীনতা ও স্বেচ্ছাচারী মনোভাব পোষন করে দূর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা করার ফলে বিদ্যালয়ে অধ্যায়নত শিক্ষার্থীরা গুনগত শিক্ষায় অমনোযোগী । বিভিন্ন শ্রেণীতে মান সম্মতভাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ার সংখ্যা খুব কম। এতে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। অভিযোগে সভাপতি অলিউর রহমান উল্লেখ করে তিনি বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধান শিক্ষিকার দূর্নীতি ও অনিয়ম তার চোখে পড়ে। প্রধান শিক্ষিকা সভাপতি কে অবগত না করে স্বেচ্ছাচারীভাবে কার্যক্রম চালানোর ফলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা , বিনোদন মূলক ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত। লেখাপড়ায় নিরুৎসাহিত বিদ্যালয়ের মানগত শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতেছে। অনিময় দূর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করছে। প্রধান শিক্ষিকার অবহেলায় ও সঠিক দায়িত্ব পালন না করার কারনে বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত তানিয়া আক্তার রোল (৩২), সিফা আক্তার ( রোল -৩৫), পাখি আক্তার ( রোল -৫১) , তাসলিমা আক্তার নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে পারে নি। ওই শিক্ষার্থীরা ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ অলিউর রহমান গত ২ ফেব্রুয়ারী হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার নিকট অনুরূপ অভিযোগ করেন। এর আগে ২০২১ সালে বিদ্যালয়ে ৭ ই মার্চে জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার বিষয়ে
সভাপতি উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ নাছিমা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,যে অভিযোগ গুলো করা হয়েছে সে গুলো মিথ্যা।
এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ডিসি স্যারের রুমে আছি এই বিষয়ে পরে কথা বলি।