পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথম নারী পুলিশ প্রধান ডেম ক্রেসিডা
এম কে জিলানী , লন্ডন
দীর্ঘ পাঁচ বছর দায়িত্বে থেকে মে
এই পুলিশ এর প্রধান কর্মকর্তা বলেন, লন্ডনের মেয়র সাদিক খান যখন স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তাঁর নেতৃত্বে তিনি কোনো আত্মবিশ্বাস পাচ্ছিলেন না, তখন আর এই পদে থাকার কোনো উপায়ন্তর নেই।
এর আগে গত সপ্তাহে মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তাদের মধ্যে বিশেষ বৈষম্য এবং অপমানজনক দুর্বব্যহার ও যৌন হয়রানির মতো বিষয় গুলোর প্রমাণ পায় পুলিশের একটি তদন্তদল। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমকে ক্রেসিডা ডিক জানান, তদন্তদলের প্রতিবেদন দেখে তিনি বেশ ‘রাগান্বিত হয়েছেন’ এবং তাঁর পদত্যাগের কোনো ইচ্ছেই প্রথমত ছিল না। তবে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পদত্যাগের। মেয়র ব্যাখ্যা করেছেন কেন পুলিশ প্রধান এর পদত্যাগ করার প্রয়োজনীয়তা হয়েছে। মেয়র খান মনে করেন পরিবর্তনের শুরু করার একমাত্র উপায় হল শীর্ষে নতুন নেতৃত্ব আনা।
মেয়র সাদিক খান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ডেম ক্রেসিডার জবাবে তিনি সন্তুষ্ট নন , আর এ কারনেই পুলিশ প্রধানকে সরেযেতে হচ্ছে । বিবৃতিতে সাদিক খান পুলিশ কমিশনার ডেম ক্রেসিডা ডিককে দীর্ঘ চার দশকের ক্যারিয়ার এবং প্রথম নারী কর্মকর্তা হিসেবে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় পুলিশ বাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
পুলিশ প্রশাসনে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তিনি এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রীতি প্যাটেল এর সঙ্গে কাজ করছেন বলেও জানান মেয়র সাদিক খান।
প্রায় দুই শত বছরের লন্ডন পুলিশ ফোর্সের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে এই পদে বসানো হয়েছিল । ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বৃটিশ সরকার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অভিজ্ঞ নারী পুলিশ কর্মকর্তা ক্রেসিডা ডিককে লন্ডন পুলিশ প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
এই ঘোষণার পর, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তাকে “জনসাধারণকে রক্ষা করা এবং রাস্তাগুলিকে নিরাপদ করার” জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
চাকরিরত অফিসার ওয়েন কুজেনস দ্বারা সারাহ এভারার্ডকে হত্যা, চ্যারিং ক্রস থানায় অফিসারদের দ্বারা বর্ণবাদী, বৈষ্যমমূলকবার্তা বিনিময় কেলেঙ্কারি এবং ডাউনিং স্ট্রিটে এবং হোয়াইটহল জুড়ে অনুষ্ঠিত কথিত লকডাউন ব্রেকিং পার্টিগুলির তদন্তকরার সময় পুলিশ বাহিনীকে খুব সময় ক্ষেপন করার অভিযোগের সময়েই তাঁর এই পদত্যাগের খবর আসে।
এর আগে বৃহস্পতিবার, ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম তাকে পদত্যাগ করা উচিত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন: “আমার যাওয়ার একেবারেই কোন ইচ্ছা নেই এবং আমি বিশ্বাস করি যে আমি গত পাঁচ বছর ধরে ছিলাম এবং পুলিশ এর সত্যিকারের পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিয়েছি। ”
তবে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এ লক্ষে মেয়র এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সহ এক সাথে একজন যোগ্য পুলিশ প্রধান খোঁজার ক্ষেত্রে কাজ করবেন।
তার পূর্ণ বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন যে লন্ডনের জনগণের সেবা করা ছিল জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান এবং প্রাপ্তি l