‘স্বপ্নের পুরুষ’ সুকেশকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন জ্যাকুলিন!
পোস্ট ডেস্ক :
২০০ কোটি রুপি পাচার মামলা নাটকীয় মোড় নিতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ধনকুবের সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও নোরা ফাতেহির বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিন মডেল ও অভিনেত্রীর নামও উঠেছে।
জ্যাকুলিন ও নোরা ফাতেহিকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।
বলিউড সেনসেশন জ্যাকুলিনের ‘স্বপ্নের পুরুষ’ নাকি ছিলেন সুকেশ চন্দ্রশেখর! ২০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলায় তদন্তে নেমে এমন কথাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
তদন্ত সূত্র বলছে, ‘কনম্যান’ সুকেশকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন বিটাউনের এই লাস্যময়ী।
আর্থিক তছরুপ মামলায় বুধবার দিল্লি পুলিশের আর্থিক দমন শাখায় তদন্তরকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন জ্যাকুলিন। প্রায় আট ঘণ্টা ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দিল্লি পুলিশের আর্থিক দমন শাখার স্পেশাল কমিশনার রবীন্দ্র যাদব সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন যে, টাকার বিনিময়ে বলিউড অভিনেত্রীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন সুকেশ। এই ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন জ্যাকুলিনও। সুকেশের কথায় নায়িকা এতটাই প্রভাবিত হন যে, তাকে বিশ্বাসও করতে শুরু করেন। সেই সূত্রেই সুকেশকে ‘কাছের মানুষ’ ভাবেন জ্যাকুলিন। তাকে বিয়ে করার কথাও ভাবেন।
রবীন্দ্রের ভাষ্য— জ্যাকুলিন আরও বিপাকে পড়েছেন। কারণ সুকেশের অপরাধের কথা জেনেও তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি।
তবে এখানে বুদ্ধিমানের পরিচয় দিয়েছেন অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। রহস্যের গন্ধ পাওয়া মাত্রই সুকেশ থেকে সরে পড়েন তিনি। সুকেশের সঙ্গে নোরার কখনো সামনাসামনি দেখাও হয়নি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, হোয়াটসঅ্যাপে দুবার চন্দ্রশেখরের সঙ্গে কথা হয়েছিল নোরার। সম্প্রতি নোরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লি পুলিশের আর্থিক দমন শাখা।
জ্যাকুলিনের সঙ্গে তার যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তা আগে জানিয়েছিলেন সুকেশের আইনজীবী। পরে সুকেশও এই কথা জনিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, প্রেমজীবনের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই।
তবে এক তদন্ত কর্মকর্তা জানান, জ্যাকুলিনকে তার সহকর্মীরা সুকেশের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার উপদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাদের কোনো কথাই শোনেননি। সুকেশের থেকে নানা বহুমূল্য উপহার এবং আর্থিক সুযোগসুবিধা উপভোগ করেন তিনি।
জানা যায়, একাধিক বহুমূল্য উপহার দিয়ে জ্যাকুলিনের মন জয় করেছিলেন সুকেশ। সেই তালিকায় রয়েছে ৯ লাখ টাকার পার্সি বিড়াল, ৫২ লাখ টাকার ঘোড়া, বিএমডব্লিউ গাড়িসহ আরও অনেক কিছু।