বিয়ের চাপ দেওয়ায় প্রেমিকাকে হত্যা, প্রেমিকসহ গ্রেপ্তার ৩

Published: 21 October 2022

পোস্ট ডেস্ক :


বিয়ে করার কথা বলে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে আশুলিয়ার পোশাক শ্রমিক পলি আক্তারকে। এ ঘটনায় প্রধান আসামি প্রেমিক রেজাউল ইসলামসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪ এর একটি দল।

আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে র‌্যাব-৪ প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে আজ ভোরে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শেরপুর জেলার কামারেরপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম (৪২), রিকশাচালক ঝালকাঠি জেলার সামিউল (৩২) ও টাঙ্গাইল জেলার সাইফুল (৪৯)। তারা সবাই আশুলিয়ায় ভাড়া থাকতেন।

নিহত পোশাক শ্রমিক পলি ঝালকাঠি জেলার সদর থানার পঞ্জিপুতি গ্রামের হাশেম মিয়ার মেয়ে। এর আগে তার বিয়ে হলেও দীর্ঘদিন আগে স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়। তার এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে।

আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন পলি। তিনি আর.কে-২ পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। গত ১১ অক্টোবর কারখানা ছুটির পর বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি।

পরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার শ্রীখন্ডিয়া গ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় একটি কুয়া থেকে পলির মরদেহ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিহতের বোন রুনা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‍্যাব-৪ জানায়, রেজাউল আশুলিয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করলেও পলির সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক সময় পলি রেজাউলকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শরু হয়। পরে রেজাউল তার দুই বন্ধু- কাপড়ের ব্যবসায়ী সাইফুল ও রিকশাচালক সামিউলকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

তারা আরো জানায়, ১১ অক্টোবর পরিকল্পনা অনুযায়ী কারখানা ছুটির পর বিয়ের কথা বলে পলিকে সামিউলের রিকশায় করে তারা রওয়ানা হন। পরে আশুলিয়ার কাঠগড়া ঘুরে শ্রীখন্ডিয়ার নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে প্রথমে রেজাউল গাছমা দিয়ে পলিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে সাইফুল মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিয়ে পলির গলায় ছুরিকাঘাত করেন। এরপর তারা ৩ জন মিলে পাশের গভীর কুয়ায় পলির মরদেহ ফেলে দেন।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৪, সিপিসি-২ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লে. কমান্ডার আরিফ হোসেন বলেন, ‘পলিকে হত্যার পর আসামিরা স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপন করছিলেন। তারা ভেবেছিলেন এই হত্যাকাণ্ডের কথা কেউ জানবে না। ‘

তিনি আরো বলেন, ‘প্রযুক্তির সহায়তায় ভিক্টিমের মরদেহ উদ্ধারের ৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রধান আসামি রেজাউলসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। তারা প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কথা শিকার করেছেন। তাদেরকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ‘