বিয়ে করলেন মেহেরপুরের সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ
বিশেষ সংবাদদাতা :
অবশেষে চুয়াডাঙ্গার জামাই হলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ। শুক্রবার সন্ধ্যার পর ৫৮ বছর বয়সে তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কোর্টপাড়াস্থ জিএন টাওয়ারে অত্যন্ত গোপনীয় পরিবেশে তার বিয়ে হয়। কনে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বন্দরভিটা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী ও ছায়েরা খাতুনের মেয়ে আমেনা খাতুন। তার বয়স ৪২ বছর।
তিনি আলমডাঙ্গার চিৎলা-রুইতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। আর সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ মেহেরপুর জেলা শহরের কাসারি বাজারপাড়ার বাসিন্দা। সূত্র জানায়, মাসুদ অরুণ ২০০১ সালে মেহেরপুর-১ আসন থেকে বিএনপির সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। তার বাবা আহম্মদ আলীও এমপি ছিলেন। তিনি মেহেরপুর জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মারা যান আহম্মদ আলী।
বড় ছেলে মাসুদ অরুণ বিএনপির রাজনীতিতে এসে জনসেবা করতে গিয়ে তিনি বিয়ের কথা ভুলে যান। তবে বছরছয়েক আগে মাসুদ অরুণের মা বরুন নেছা মারা গেলে বড় একা হয়ে পড়েন মাসুদ অরুণ। এরপর থেকেই বিয়েতে সম্মত হন তিনি। তবে উপযুক্ত পাত্রী খোঁজা চলছিল। মাসদুয়েক আগে বিয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। অবশেষে দুপক্ষের ঘটকের মাধ্যমে চূড়ান্ত দেখাদেখি শুরু হয়। এরই মধ্যে সপ্তাহদুয়েক আগে বর ও কনে পক্ষ চূড়ান্ত করে বিয়ের বিষয়টি।
সেই মোতাবেক চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন গাংনী ইউনিয়নের বন্দরভিটা গ্রামের স্কুল শিক্ষক আমেনা খাতুনের সঙ্গে বিয়ের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয় ৪ নভেম্বর। শুক্রবার সন্ধ্যায় মাসুদ অরুণের ছোট ভাই মাসুদ আহমেদ লিজন ও আফসানা ফেরদৌস ক্যামি দম্পতির চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কোর্টপাড়াস্থ জিএন টাওয়ারের বাসায় কাবিননামায় স্বাক্ষর করেন সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ ও আমেনা খাতুন। পরে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের অভিজাত হোটেল সাইদ প্যালেসে বরযাত্রীরা প্রীতিভোজে অংশ নেন।