ওজন কমাতে তরুণীর কাণ্ড!

Published: 12 November 2022

পোস্ট ডেস্ক :


নাহ! ওজন কিছুতেই কমছে না। খুব চেষ্টা করছেন; কিন্তু দিন শেষে কিছু একটা খেয়ে ফেলছেন। উপায় না দেখে ওপরের দাঁতের সাথে নিচের দাঁত বেঁধে দিলেন আর ভাবলেন, এখন ইচ্ছা করলেও আর খাবার খেতে পারবেন না। কেমন হবে ব্যাপারটা?
কেমন হবে এটা ভাবার আগে জেনে নিন এমনটি বাস্তবেই হয়েছে।

সে গল্পই আজ শোনাব আপনাদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার এক নারী স্তনে অস্ত্রোপচার করবেন। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন ওজন কমানোর। তার ওজন যে অনেক বেশি। ওজন কমানোর এই মরিয়া প্রচেষ্টায় ‘স্লিমিং তার’ দিয়ে নিজের মুখ বন্ধ করেছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

আভিওয়ে ম্যাজোসোয়ে স্তন কমানোর সার্জারির জন্য সঠিক ওজনে আসতে হবে। এরপর অস্ত্রোপচার করে স্বাভাবিক জীবনে আসতে চান তিনি। তাই তিনি বিরতিহীনভাবে উপবাস করে ১২ কেজি ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু এই পর্যায়ে এসে তিনি আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

সে কারণেই এ বছরের জুনে দাঁতে ‘স্লিমিং তার’ লাগানো হয়েছিল। এই তারকে বলা হয় ‘অর্থোডন্টিক বন্ধনী’, যার কারণে চোয়াল বন্ধ রাখে। দাঁতের সাথে দাঁত আটকে থাকে। কিন্তু এটি একটি বিতর্কিত ওজন কমানোর ডিভাইস।

তিনি টিকটকে তার এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে অনলাইনে প্রচুর সমালোচনার সম্মুখীন হন। আভিওয়ে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানকে বলেছেন, ‘অনেকে বাজে মন্তব্য করেছেন; কিন্তু আমার মনে নেই। কারণ আমি সেগুলোতে মনোযোগ দিইনি। ’ এত মন্তব্য শোনার পরও তিনি থেমে যেতে চান না।

আভিওয়ে জুনের শেষে স্লিমিং তারগুলো লাগিয়েছিলেন। সেগুলো সাত সপ্তাহ ধরে রেখেছিলেন। এই সময়ে তিনি ১৪.৩ কিলোগ্রাম (৩১.৫ পাউন্ড) ওজন কমিয়েছিলেন। কারণ তার চোয়াল বন্ধ করে রেখেছিলেন। তিনি এই সময়ে খেতেন তরল খাবার, যেমন স্মুদি, স্যুপ ও দই। তার দাবি, স্যুপের সুস্বাদের কারণে তার আর কিছু খেতে মন চায় না।

স্লিমিং তারগুলো সরানোর পর প্রথমেই তিনি তার প্রিয় জায়গা থেকে একটি জালাপেনো বার্গার খেয়েছিলেন। এটি অপরাধ, তবু আনন্দের তার কাছে। কারণ তাকে এ জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল।