লন্ডনে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

Published: 22 February 2023

পোস্ট ডেস্ক :


মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ৩৯তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গত ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় পূর্ব লন্ডনের একটি হলে বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ইউকের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি কে এম আবু তাহের চৌধুরী ও সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান জামাল নুরুল ইসলাম। মুফতি সৈয়দ মাহমুদ আলীর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবীরের বর্নাঢ্য জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহবাব হোসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, বীর মুক্তিযাদ্ধা আবুল কাশেম খান , নিউহাম কাউন্সিলের কাউন্সিলার ওসমান গনি, কামব্রিয়া কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ার কাউন্সিলার মুহাম্মদ আব্দুল হারিদ ,কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মোঃ আব্দুল মুকিত, নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হাই, জি এস সি নেতা ফজলুল করিম চৌধুরী, আলেমে দ্বীন মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী, মাওলানা রফিক আহমদ রফিক ,প্রবাসী অধিকার পরিষদের সভাপতি জামান সিদ্দিক ,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া, সংগঠনের ট্রেজারার সৈয়দ সুহেল আহমদ ,বাংলাদেশ জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি বদরুজ্জামান বাবুল, সহ-সভাপতি শিহাবুজ্জামান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াওর উদ্দিন, ট্রেজারার সাংবাদিক আফসার উদ্দিন , সমাজ কল্যান সম্পাদক হাজী ফারুক মিয়া , কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক মোঃ আনোয়ার হোসেন ( লুটন ), মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক মীর আব্দুর রহমান প্রমুখ ।
সভায় বক্তারা বলেন -আজীবন সংসদীয় গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলা যাবেনা । ওসমানীর দূরদর্শিতা , প্রজ্ঞা , রণকৌশল ও সঠিক নেতৃত্বের কারনেই মাত্র ৯ মাসে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ।
বক্তারা বলেন, মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। সিলেটের রত্ন, গণতন্ত্রের আপোষহীন সৈনিক, সংকল্পে অটল, নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক, পরমত সহিষ্ণু, সততা, কর্মনিষ্ঠা ও সময়ানুবর্তিতার আদর্শ পুরুষ আতাউল গণি ওসমানী কখনও কোন ধরণের লোভ লালসার স্বীকার হননি। দেশে গণতন্ত্রের বিকাশই ছিল তার আজীবন সাধনা। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন এবং জাতির সংকটময় মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হয়ে দেশকে আশু ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। জাতির সংকটময় মুহূর্তে তার মতো জাতীয় বীরের আজ বাংলাদেশে বড় বেশি প্রয়োজন। এম এ জি ওসমানি এক বীর সেনানীর নাম। যিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছিলেন। বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানী তার জীবন দেশ ও জাতির জন্য উৎসর্গ করে অমর হয়ে রয়েছেন। বক্তারা, জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন করার জন্য এবং উনার নামে একটি ডিফেন্স কলেজ সিলেটে প্রতিষ্ঠা করার জন্য দাবি জানান। বক্তারা, নতুন প্রজন্মদের কাছে ওসমানীর জীবন কাহিনী পাঠ্য পুস্তকে তুলে ধরার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান ।
মুফতি সৈয়দ মাহমুদ আলী জেনারেল ওসমানীর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন ।