মুখ খুললেন প্রিয়াংকা গান্ধী
পোস্ট ডেস্ক :
ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর এমপি পদ খারিজ করা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তার সহোদরা কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াংকা গান্ধী।
রাহুল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলেও তার দাবি। প্রসঙ্গত, রাহুলের লন্ডনে করা মন্তব্য প্রসঙ্গে সম্প্রতি বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেছিলেন, রাহুল বর্তমান ভারতীয় রাজনীতির ‘মীরজাফর’। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
প্রিয়াংকা বলেন, বারবার ‘মীরজাফর’ বলে রাহুল গান্ধীকে এবং কংগ্রেস পরিবারকে অপমান করেছে বিজেপি। কিন্তু কোনো বিচারক তো তার জন্য ওই বিজেপি নেতাদের সাজা ঘোষণা করেননি।
তাদের সদস্যপদও খারিজ করা হয়নি! তা হলে কেন রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করা হলো? প্রশ্ন তুললেন রাহুলের সহোদরা প্রিয়াংকা গান্ধী।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাহুলের সংসদ সদস্যপদ খারিজ হওয়ার পর কংগ্রেস সদর দপ্তরে একটি বৈঠকে যোগ দিতে যান প্রিয়াংকা। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির মুখপাত্র, মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী, আমার পরিবারের জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, রাহুলের সম্পর্কে লাগাতার সমালোচনা করে চলেছেন। অশালীন ভাাষা ব্যবহার করছেন।
তাদের সম্পর্কে কিছু না কিছু খারাপ কথা সব সময় বিজেপির অন্দর থেকে উঠে আসে। এটা প্রায় হয়। গোটা দেশ তার সাক্ষী। তা হলে কেন কোনো বিচারক ওই বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দু’বছরের সাজা ঘোষণা করেননি? কেন তাদের সদস্যপদ বাতিল করা হলো বলে ঘোষণা করা হয়নি?
তিনি আরও বলেন, আমার ভাই আদানিকাণ্ডের কথা তুলেছিল এবং তার জন্যই এ রকম করা হলো। মানহানির মামলায় তো স্থগিতাদেশ ছিল। কেন হঠাৎ আমার ভাই সংসদে আদানি সম্পর্কে বক্তৃতা দেওয়ার পরই সেই মামলাটি নতুন করে উঠল।
প্রিয়াংকা জানান, গান্ধী পরিবার ভারতের জনগণের হয়ে আওয়াজ তুলেছে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সত্যের জন্য লড়াই করে এসেছে। তিনি আরও বলেন, রাহুল মাথা নত করবেন না। কারণ, তিনি এমন একটি পরিবারের সদস্য, যারা তাদের রক্ত দিয়ে গণতন্ত্রকে লালন করে এসেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কর্নাটকে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, সব চোরেদের পদবি ‘মোদি’ কেন? আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদি, ব্যাঙ্ক-ঋণ মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুলনা টেনেছিলেন তিনি।
ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে ‘পদবি অবমাননার’ অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাতে বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল।