বাংলাদেশে অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশের জন্য দায়ী বায়ু দূষণ: বিশ্বব্যাংক

Published: 29 March 2023

বিশেষ সংবাদদাতা :


বিশ্বের ১০টি সর্বাধিক দূষিত বায়ুর শহরের মধ্যে নয়টিই দক্ষিণ এশিয়াতে অবস্থিত। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে মোট অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশের জন্যই দায়ী এই বায়ু দূষণ। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে শিনহুয়া।

খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিশুদ্ধ বায়ু নিশ্চিত করার জন্য অর্থনৈতিকভাবে সম্ভব এবং সাশ্রয়ী সমাধান রয়েছে। তবে এর জন্য দেশগুলোর মধ্যে নীতিমালা ও বিনিয়োগের সমন্বয় প্রয়োজন। ‘স্ট্রিভিং ফর ক্লিন এয়ার: এয়ার পল্যুশন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার ঢাকায় উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অঞ্চলের কিছু অতি ঘনবসতিপূর্ণ ও দরিদ্র এলাকার বায়ূকণা যেমন ঝুল এবং ধূলিকণা (পিএম২.৫) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত নিরাপদ মানদণ্ডের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। দক্ষিণ এশিয়ায় এই বায়ুদূষণ প্রতি বছর আনুমানিক দুই মিলিয়ন লোকের অকাল মৃত্যু ঘটায়। এর কারণে অর্থনৈতিক ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলায়ে সেক বলেন, বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। এমন অনেক নজির রয়েছে যে অঙ্গীকার, সঠিক পদক্ষেপ ও নীতিমালা গৃহীত হলে এই বায়ুদূষণ মোকাবিলা করা সম্ভব।

বাতাসের গুণমান ব্যবস্থাপনা বাড়াতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বায়ূদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইনসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে এই শক্তিশালী পদক্ষেপের পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত সমাধান এই বায়ুদূষণ কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক সমন্বয় পরিচালক সিসিল ফ্রুম্যান বলেন, বায়ুদূষণ একটি শহর, রাজ্য বা জাতীয় সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অল্প কিছুসংখ্যক দেশ বাতাসের মান উন্নয়নে নীতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু জেলা ও গ্রাম পর্যায়ে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পদক্ষেপ গ্রহণ করাটা অতিজরুরি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বড় কারখানা ও পরিবহনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে চলমান নীতিগত পদক্ষেপগুলো যদি দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে বায়ু দূষণ রোধে আংশিক সাফল্য আসবে। বৃহত্তর অর্জনের জন্য নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই অন্যান্য খাতগুলোতেও নজর দিতে হবে।