মাটিতে ঘুমানো বাংলাদেশি মোজাম্মেল হোসেনের লন্ডন জয়ের স্বপ্ন
পোস্ট ডেস্ক :
বাংলাদেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম তার। ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত পিতা আলি আকবর ও মা আয়েশার সঙ্গে হাতেবোনা একটি মাদুরের ওপর একইরুমে মাটির ওপর বিছানায় ঘুমাতেন তিনি। ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত পায়ে ওঠেনি জুতা। সেই মোজাম্মেল হোসেনই এখন লন্ডনের মেয়র হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বৃটিশ মিডিয়া তার নামকে সংক্ষেপ করে মোজ হোসেন হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দল কনজারভেটিভ থেকে আগামী মেয়র নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে চান। বর্তমান শক্তিধর মেয়র সাদিক খানকে টেক্কা দিতে চান। মোজাম্মেল হোসেনের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বৃটিশ খ্যাতনামা সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান। এতে মোজাম্মেল হোসেন বলেছেন, এক দরিদ্র গ্রামে ছিল তার বাড়ি। গোসল করতেন পাশের এক পুকুরে।
এর চারপাশে ছিল পেঁপে গাছ। আনারসের ঝাড়। তিনি বলেন, এটাই ছিল ম্যাজিকের মতো। ওই পুকুরে প্রতিদিন আমি সাঁতার কাটতাম।
অথচ সেই মোজাম্মেল হোসেন এখন লন্ডনে ক্রিমিনাল বিষয়ক ব্যারিস্টার (কেসি)। আগামী সপ্তাহে তিনি রক্ষণশীল দল থেকে মেয়র পদে প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছেন। তার জন্য রক্ষণশীল কনজারভেটিভ দলের ৩০ হাজার সদস্যের ভোটে প্রার্থিতা নিশ্চিত হতে হবে। যদি তা পারেনও তবু সামনে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার দলের বর্তমান মেয়র সাদিক খান। তিনি তৃতীয় মেয়াদে বিজয়ের বিষয়ে আস্থাশীল। সর্বশেষ এক জরিপে অবশ্য তার পক্ষেই গেছে ফল। তাতে দেখা গেছে লেবার দলকে সমর্থন করছে শতকরা ৪১ ভাগ মানুষ। কনজারভেটিভ দলকে ৩৩ ভাগ এবং লিবারেল ডেমোক্রেটকে সমর্থক করছে শতকরা ৮ ভাগ মানুষ। তা সত্ত্বেও থেমে থাকার পাত্র নন মোজাম্মেল হোসেন।
তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমার পুরো জীবন হলো পাহাড়ে আরোহনের মতো। আমি বাংলাদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে। এখন একজন ক্রিমিনাল বিষয়ক ব্যারিস্টার। সারাজীবন আমি একটু একটু করে সব শিক্ষা অর্জন করেছি।
মোজাম্মেল হোসেন কোনো নির্বাচনী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি কখনো। এমনকি কোনো ব্যবসা পরিচালনারও কোনো অভিজ্ঞতা নেই তার। আর মেয়রের ২১০০ কোটি পাউন্ডের বাজেট তো চোখে জল আনার মতো অবস্থা।
মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমি কোনো পেশাদার রাজনীতিক নই। লন্ডনবাসী আমার মতো এমন কাউকে চান। কারণ, তারা নতুন নতুন আইডিয়া আছে এমন ব্যক্তিকে চান। একজন ক্রিমিনাল বিষয়ক টিমের নেতৃত্বে থাকার কারণে আমার এ বিষয়ক আইনের ২১ বছরের অভিজ্ঞতা আছে।