রুশ কূটনীতিক ও কর্মীসহ ৪৫ জনকে বহিষ্কার করল মলদোভা

Published: 27 July 2023

পোস্ট ডেস্ক :


মলদোভা ৪৫ জন রাশিয়ান কূটনীতিক এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মীকে বহিষ্কার করবে। ‘অবন্ধুসুলভ কর্মকাণ্ডের’ জন্য তাদের বহিষ্কার করা হবে বলে জানায় মলদোভা। এতে করে মলদোভায় রুশ দূতাবাসে রুশ কূটনীতিক সংখ্যা মাত্র ২৫ জনে দাঁড়াবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর থেকে মলদোভান সরকার মস্কোর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি এবং বিরোধী দলকে সমর্থন করার অভিযোগ দিয়ে আসছে।

রাশিয়া মলদোভার এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছে এর উত্তর না দিয়ে বসে থাকবে না রাশিয়া।
মঙ্গলবার মলদোভার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রুশ দূতাবাসের ছাদে স্থাপন করা নতুন নজরদারি সরঞ্জাম এবং রাশিয়ার ব্যবহৃত পার্শ্ববর্তী একটি ভবনের ছাদে স্থাপন করা নতুন নজরদারি সরঞ্জাম নিয়ে সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশের পর গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি রাশিয়ার অনুসন্ধানী মিডিয়া সাইট ইনসাইডার এবং মলদোভার জার্নাল টিভি চ্যানেল প্রকাশিত হয়।

বুধবার বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘চলমান উত্তেজনা এবং অবন্ধুসুলভ কর্মকাণ্ডের’ কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং বহিষ্কৃত রাশিয়ানদের ১৫ আগস্টের মধ্যে চলে যেতে হবে।

মলদোভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকু পোপেস্কু বলেন, ‘অনেক বছর ধরে আমরা রাশিয়ার শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড ও নীতির লক্ষ্যবস্তু হয়েছি। কর্মকাণ্ডের অনেকগুলোই দূতাবাসের মাধ্যমে করা হয়েছে।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, মলদোভার ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপের উত্তর দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, এই সিন্ধান্তের অর্থ কনস্যুলার পরিষেবা এবং রাশিয়ার সঙ্গে মলদোভানদের যোগাযোগের ওপর বিধিনিষেধ।

’ মলদোভা ইউরোপের সবচেয়ে দরিদ্র একটি অর্থনীতির দেশ। জনসংখ্যা মাত্র ২.৬ মিলিয়ন। প্রতিবেশী ইউক্রেনের যুদ্ধে এই দেশটি ব্যাপকভাবে সামনে চলে এসেছে।
দেশটি বড় ধরনের জ্বালানি সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। কারণ দেশটির বিদ্যুৎ অবকাঠামো সোভিয়েত যুগের।

রাশিয়া মলদোভায় গ্যাস সরবরাহই সীমিত করেছে এবং ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিডে রুশ সামরিক বাহিনীর হামলার কারণেও মলদোভায় বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। ১৯৯২ সালে রোমানিয়া এবং ইউক্রেনের মাঝে অবস্থিত ছোট্ট রাষ্ট্র মলদোভার একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। রাশিয়া ঘনিষ্ঠ এই অংশের নাম ট্রান্সনিস্ট্রিয়া। বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ওই অঞ্চলে রাশিয়া তাদের সেনা মোতায়েন করে রেখেছে।