স্কটল্যান্ডের যৌন নিপীড়ক শিক্ষিকা এখন…

Published: 31 July 2023

পোস্ট ডেস্ক :


সতের বছর বয়সী এক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন ৩৭ বছর বয়সী একজন শিক্ষিকা এপি স্প্রাং। সে ২০১২ সালের ঘটনা। তখন স্কুলে এক ড্যান্সের অনুষ্ঠানের পর ওই টিনেজারের সঙ্গে অসংলগ্ন অবস্থায় ধরা পড়েন তিনি। স্কটল্যান্ডের ক্যাথোলিক সেইন্ট জোসেফস কলেজে ইংরেজির শিক্ষিকা ছিলেন এপি স্প্রাং। তিনি ওই টিনেজারকে তার পড়াশোনায় সাহায্য করতেন। ২০১২ সালে স্কুলে এক ড্যান্স অনুষ্ঠানের পর পুলিশ তাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখতে পায়। ফলে তিনি চাকরি হারান। ওই সময় বিবাহিতা ছিলেন এপি। এ ঘটনায় তার স্বামীর সঙ্গে দুই বছরের দাম্পত্যের ইতি ঘটে। ২০১৩ সালে আদালতে তিনি স্বীকার করেন আস্থা ভঙ্গ করেছেন।

তাকে ৬ মাসের জন্য কমিউনিটি পেব্যাক অর্ডার দেয়া হয়। পরে দেখা যায় তিনি শিক্ষাদানের জন্য উপযুক্ত নন। দুই বছরের জন্য রেজিস্ট্রার থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়। বর্তমানে তিনি স্কটল্যান্ডে যাদের এমন ক্রিমিনাল রেকর্ডস আছে তাদেরকে অভিজ্ঞতা শেয়ার করার আহ্বান জানিয়েছেন। নিজেকে যৌন নিপীড়ক বলে স্বীকার করেছেন। চালু করেছেন একটি ব্লগ। তাতে লিখেছেন- আমি এপি। একজন মা, স্ত্রী, মেয়ে, বোন, বন্ধু, স্বেচ্ছাসেবিকা, ব্যবসায়ী মালিক এবং যৌন নিপীড়ক। এসব বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে স্বস্তি পাওয়া যায় না। আবার এটাকে সঙ্গে নিয়ে দিন পাড় করায়ও স্বস্তি নেই। অনেক আগে আমি খারাপ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যাতে অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। আমার বাকি জীবন এই ‘যৌন নিপীড়ক’ খেতাব নিয়েই চলতে হবে।
বর্তমানে তিনি নেক্সট চ্যাপ্টার স্কটল্যান্ডের চেয়ার। এর কাজ হলো ক্রিমিনাল রেকর্ডস আছে যাদের তাদেরকে সহায়তা করা। গত মাসে এপি ঘোষণা দিয়েছেন যে, তার সংগঠন দ্য ন্যাশনাল লটারি কমিউনিটি ফান্ড থেকে কিছু অর্থ পেয়েছে। এই অর্থ দিয়ে নিজেদের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উন্নতি সাধন করতে চান। আরও সাহায্যের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত তার ওয়েবসাইটে দানের পরিমাণ ৭৫৩০ পাউন্ড।