বাংলাদেশে পর্যটন কার্যালয় খুলবে সৌদি আরব

Published: 26 August 2023

পোস্ট ডেস্ক :


সৌদি পর্যটন কর্তৃপক্ষ (এসটিএ) বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধি কার্যালয় খুলতে যাচ্ছে। দেশটির এশিয়া-প্যাসিফিক প্রেসিডেন্ট আলহাসান আল-দাব্বাগ বৃহস্পতিবার আরব নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৩০ লাখের বেশি পর্যটক নিয়ে যাওয়া।

এসটিএ হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়ার নেতৃত্বে একটি সৌদি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসে। তারা এই সপ্তাহে সৌদি আরবের ফ্ল্যাগশিপ নুসুক প্রকল্প চালু করতে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে ঢাকা সফর করেছিলেন। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিও স্বাক্ষর করা হয়েছে।

নুসুক হল একটি ই-ভিসা এবং বুকিং প্ল্যাটফর্ম যার অধীনে হজযাত্রীরা মক্কা, মদিনা এবং এর বাইরের এলাকায় ঘুরতে আসার সুবিধা পাবেন। যদিও এই প্রকল্পের উদ্দেশ ছিল বাংলাদেশিদের জন্য ওমরাহ পালন সহজ করা তবে সৌদি পর্যটন কর্তৃপক্ষ এর বাইরেও যাত্রীদের ভ্রমণ করার সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে রাজি হয়েছে।

আলহাসান আল-দাব্বাগ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ লাখের বেশি বাংলাদেশি পর্যটক টানা। এটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার। (এ বছর এখন পর্যন্ত) আমরা ৩ লাখের বেশি বাংলাদেশিকে সৌদি আরবে স্বাগত জানিয়েছি। তাদের বেশিরভাগই ওমরাহ করতে আসছেন, তবে এমন লোকও আছেন যারা তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। এমন লোকও আছে যারা ব্যবসার জন্য আসছেন।’

চলতি বছরের শুরুর দিকে পর্যটন নিয়ে ভারতে একটি ব্যাপক প্রচারণা চালায় সৌদি। প্রচারণার লক্ষ্য ছিল ১ কোটি ২০ লাখের বেশি ভারতীয় পর্যটক আকৃষ্ট করা। চলতি সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশের সঙ্গেও পর্যটন বিষয়ক চুক্তি সম্পন্ন করেছে সৌদি আরব।

আল-দাব্বাগ আরও বলেছেন, ‘আমরা এখানে অনেক কিছু করছি। প্রথমত, আমরা একটি প্রতিনিধি অফিস স্থাপন করছি। আমরা এখন আমাদের বাণিজ্য অংশীদার, ট্যুর অপারেটর এবং ট্রাভেল এজেন্টদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।’

নুসুক চালু করার মাধ্যমে ওমরাহর জন্য বর্ধিত ভিসা এবং বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ট্রানজিট ভিসা ওমরাহকে আগের চেয়ে সহজ করে তোলে এবং দর্শনার্থীরা মক্কা ও মদিনার পবিত্র স্থানের বাইরেও ঘুরতে পারবেন।

সৌদি আরবের ছয়টি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট রয়েছে। সবগুলো মিলিয়ে ১০ হাজারের বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রয়েছে। এগুলো খুবই বৈচিত্র্যময়। এখানে জেদ্দা এবং রিয়াদের মতো বড় শহর রয়েছে। মরুভূমির অভিজ্ঞতা আছে। সমৃদ্ধ, রঙিন প্রবাল প্রাচীরসহ সুন্দর লোহিত সাগর রয়েছে। এছাড়াও দেশটির দক্ষিণে আসির পর্বত রয়েছে, যেখানে আবহাওয়া সারা বছর শীতল থাকে।