নিজের বেতন না বাড়িয়ে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বাড়ালেন মমতা
পোস্ট ডেস্ক :
নিজের বেতন এক পয়সাও বাড়ালেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ালেন রাজ্যের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বেতন। অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর বেতন বাড়া আর কমা শুধুমাত্র আক্ষরিক অর্থে। কারণ, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেতন নেন না। এমনকি সাত বারের সংসদ সদস্য হিসেবে মাসে একলক্ষ রূপির পেনশনও তিনি নেন না। মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন তিনি নির্ধারণ করেছেন ৪০ হাজার রুপি। অর্থাৎ ভাতা ও বিধানসভায় হাজিরা মজুরি মিলিয়ে একজন বিধায়ক মাসে আয় করবেন প্রায় এক লক্ষ ২১ হাজার রুপি। মন্ত্রী এবং বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা পাবেন দেড় লক্ষ রুপি। এতদিন পর্যন্ত পূর্ণ মন্ত্রীরা শুধু বেতন বাবদ ২২ হাজার রুপি পেতেন। প্রতিমন্ত্রীরা পেতেন ২১ হাজার ৯০০ রুপি।
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান তিনি গ্রহণ না করলেও তাঁর বেতনক্রম বাড়ানোর জন্য।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা হাতজোড় করে প্রত্যাখ্যান করে বলেন-বাংলার বিধায়ক-মন্ত্রীরা অনেক কম বেতন পেতেন। তাই, সাম্যতা আনার জন্য সামান্য রুপি বাড়ানো হয়েছে। তিনি একা মানুষ বইয়ের রয়্যালটি, গানের রয়্যালটি দিয়ে তাঁর বেশ চলে যায়। তার বেতন বাড়ানোর কোনও প্রশ্ন ওঠে না। তাছাড়া তিনি তো বেতন নেন না। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান যে, তিনি এই বর্ধিত রুপি নেবেন না। কারণ, তিনি মনে করেন বিধায়ক মন্ত্রীদের মাইনে না বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেয়া।