কমিউনিটির মানুষের নিরাপত্তায় টাওয়ার হ্যামলেটস ও হ্যাকনীতে পুলিশী টহল

Published: 14 October 2023

লন্ডন, ১৪ অক্টোর ২০২৩:

টাওয়ার হ্যামলেটস এন্ড হ্যাকনী বারা পুলিশ কমান্ডার জেমস কনওয়ে ইস্ট লন্ডন মসজিদ এন্ড লন্ডন মুসলিম সেন্টার পরিদর্শন করেছেন। ১৩ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে তিনি মসজিদে আসেন এবং সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।

মুলত: ফিলিস্তিন-ইসরাইল পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় লন্ডনে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ার আশংকার প্রেক্ষিতে তিনি ইস্ট লন্ডন মসজিদে আসেন। বরাহ কমাণ্ডার বলেন, আমাদের কমিউনিটির মানুষ যাতে নিজেদেরকে নিরাপদ ভাবতে পারে সেজন্য আমরা টাওয়ার হ্যামলেটস ও হ্যাকনীতে পুলিশী টহল জোরদার করেছি। তিনি বলেন, হেইট ক্রাইম ও ইসলাম বিদ্বেষ মোকাবেলায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের মুসলিম কমিউনিটি সবচেয়ে বেশি হেইট ক্রাইমের শিকার হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৩৯ শতাংশ হেইট-ক্রাইম মুসলমানদেরকে লক্ষ্য করে ঘটে চলেছে।

বারা কমাণ্ডার যোকোনো ধরনের হেইট ক্রাইম কিংবা ইসলাম বিদ্বেষী ঘটনা তৎক্ষনাত জরুরী ৯৯৯ নাম্বারে কল করে রিপোর্ট করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে ইস্ট লন্ডন মসজিদে কল করেও রিপোর্ট করা যাবে।

বারা কমাণ্ডার জেমস কনওয়ে জুমার নামাজের কিছুক্ষণ আগে মসজিদে পৌঁছে মারিয়াম সেন্টারের বারাকা খান গ্যালারীতে মসজিদের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মিলিত হন। এতে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট লন্ডন মসজিদ এন্ড লন্ডন মুসলিম সেন্টারের নবনিযুক্ত সিইও জুনায়েদ আহমদ, হেড অব অ্যাসেট এন্ড অপারেশন্স আসাদ জামান ও মারিয়াম সেন্টারের প্রধান সুফিয়া আলম। পরে তিনি বারাকা খান গ্যারারী থেকে জুমার খুতবা শুনেন এবং নামাজ পড়ার দৃশ্য দেখেন।