গাজায় নিহতের সংখ্যা ১১,২০০

Published: 14 November 2023

পোস্ট ডেস্ক :


গাজার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে কমপক্ষে ১২টি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নাদি খাদামাত জেলায় এই হামলা মিলিয়ে ৭ই অক্টোবর থেকে কমপক্ষে ১১,২০০ ফিলিস্তিনি মারা গেলেন ইসরাইলি নৃশংসতায়। ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের এজেন্সি বলেছে, যদি বুধবারের মধ্যে অবরুদ্ধ গাজায় জ্বালানি সরবরাহ দেয়া না হয়, তাহলে সব রকম কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে। হাসপাতালগুলোতে অব্যাহতভাবে ইসরাইলের হামলায় ভয়াবহ এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গাজার উত্তরে বেশির ভাগ হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ওদিকে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে নৃশংস অমানবিক সহিংসতার কারণে ইসরাইলের কঠোর সমালোচনা করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা ডা সিলভা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বলেছেন, ৭৮ বছর বয়সে আমি এত নৃশংসতা ও সহিংসতা কখনো দেখিনি। নিরীহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে এমন অমানবিক সহিংসতা কখনো দেখিনি। হামাস যা করেছে তা সন্ত্রাসের পর্যায়ে। কিন্তু তার জবাবে শিশু ও নারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরাইল।

বহু লড়াই করে যেসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে, যেমন স্কুল, হাসপাতাল, তা ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। যুদ্ধবিরতির জন্য অন্য প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে মানবিকতার দাবিতে শান্তির জন্য অব্যাহতভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে ব্রাজিল সরকার। কাউকে আমরা পশ্চাতে ফেলে রাখবো না। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. আশরাফ আল কুদরা আল জাজিরাকে বলেছেন, জ্বালানি সংকটের কারণে অবরুদ্ধ গাজার সব হাসপাতাল ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে গাজার উত্তরাঞ্চলে। গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল আল শিফা ও আল কুদস সোমবার তাদের অপারেশন বন্ধ করে দিয়েছে। জ্বালানির অভাবে মেডিকেল সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
ওদিকে দখলীকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেমে নির্মিত অবকাঠামো বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল। আল জাজিরার পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, মঙ্গলবার সকালের দিকে তুলকারেমে সংকীর্ণ একটি সড়কের পাশে এসব স্থাপনা ধ্বংস করে দিচ্ছে তারা। রাতভর শরণার্থী শিবিরে হামলার পর এই অভিযানে নেমেছে ইসরাইল।