যুবদলের জাহাঙ্গীর-ইসহাকসহ বিএনপির ১৩৭ জনের কারাদণ্ড­

Published: 23 November 2023

বিশেষ সংবাদদাতা :


রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা, লালবাগ থানা ও কোতোয়ালি থানার তিন মামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক নেতা এসএম জাহাঙ্গীর, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১৩৭ জনের কারাদ­ণ্ড দিয়েছেন ঢাকার তিনটি আদালত।

বৃহস্পতিবার পৃথক রায়ে এ আদেশ দেন। এ তিন মামলাসহ গত তিন মাসে ৩১ মামলায় বিএনপির ৫৬৮ জনের কারাদণ্ড­ দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে নভেম্বর মাসে ২৪ মামলায় ৪৩২ জনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

যুবদলের জাহাঙ্গীরসহ ৭৫ জনের কারাদণ্ড
রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার মামলায় এসএম জাহাঙ্গীরসহ ৭৫ জনের পৃথক তিন ধারায় আড়াই বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

এদিন কারাগারে আটক জাহাঙ্গীরসহ তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তবে অপর ৭৩ আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পলাতক আসামিদের মধ্যে কেউ মারা গেলে তাদের বিরুদ্ধে সাজা কার্যকর হবে না বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।

নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করে পুলিশ। তদন্ত শেষে পুলিশ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়।

লালবাগ থানার মামলায় বিএনপির ৫০ জনের কারাদণ্ড­
রাজধানীর লালবাগ থানার মামলায় পৃথক দুই ধারায় বিএনপির ৫০ জন নেতাকর্মীর ৩ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড­ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা অর্থদ­ণ্ড, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

দ­প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হাজী আলতাফ হোসেন, মোশারফ হোসেন ওরফে কালা খোকন, জামালুর রহমান চৌধুরী, শফিউদ্দিন আহমেদ সেন্টু, মো. সাইদুল ইসলাম, জিয়ার আলী তাইয়্যন, সাঈদ হোসেন সোহেল ওরফে ক্যাপ সোহেল, হাজী ফয়সাল, আরমান হোসেন বাদল, মো. জুম্মন, ফয়সাল আহম্মেদ, মো. তাজু, মো. রাসেল, রমজান আলী, মো. জিয়া, তাসাদ্দেক হোসেন বাবলু, মো. শাসীম, মুজিবুর রহমান ওরফে মান্জু, পলাশ চেীধুরী, জানে আলম, সজিব আহম্মেদ শিবলু, মো. রুবেল, হাসান উদ্দিন সোহেল, আবু নোমান, খলিলুর রহমান ওরফে রিপন, মো. শহিদুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, মো. চাঁন মিয়া, মাহবুব হোসেন পিচ্চি, কালা বাবু, মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে মাহবুব, মো. সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ মোস্তাফা, মো. সোহেল, আলমগীর কবির সেলিম, সোহাগ হোসেন বিপ্লব, ওহাব মিয়া, ওমর ফারুক, টিটু মিয়া, জাকির আহম্মেদ বাবু, আলমগীর হোসেন, মো. কামাল আকন, হারিছুল হক, তানজিরুল রহমান, মো. ইমরান হোসেন, মো. মামুন সোহেল, মো. আরমান হোসেন, ইমাম হোসেন ইমন, মো. সেলিম, আকবর আহম্মদ আকবর।

নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ। তদন্ত শেষে পুলিশ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়।

ইসহাক সরকারসহ ১২ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড­
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানার মামলায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১২ জনের সাত বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৮ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১০ এর বিচারক মো. মামুনুর রহমান সিদ্দিকী এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন আনোয়ার, হায়দার আলী বাবলা, ইমরান, সেন্টু, নাসুম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ৮ মার্চ কোতোয়ালি থানাধীন বাবুবাজার ব্রিজ এলাকায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে হরতাল সফল করতে ককটেল বিস্ফোরণ করে আসামিরা। এতে রিকশাচালক কামাল হোসেন গুরুতর আহত হন। যার মাধ্যমে তারা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ মামলা করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নাজিম উদ্দীন ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বিচার চলাকালীন সময়ে আদালত আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।