ভারতে যেন রুপির খনি
পোস্ট ডেস্ক :
এত্ত অর্থ, এত্ত অর্থ যে তা গুণে শেষ করতে পারছেন না কর্মকর্তারা। অভিযান চালিয়ে গচ্ছিত রুপির যেন খনি আবিষ্কার করেছে ভারতের আয়কর বিভাগ। যেদিকে চোখ যাচ্ছে, সেখানেই শুধু রুপি আর রুপি। কমপক্ষে ২৯০ কোটি রুপির নগদ অর্থ উদ্ধার করেছেন আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। একে ভারতে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বেশি অংকের অর্থ উদ্ধার হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, তিনটি রাজ্যে মদ তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে এসব অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। ২৯০ কোটি রুপি গোনার পর এর গণনা চলছিলই। বিভিন্ন সূত্র বলেছেন, যেহেতু এই অর্থের গণনা চলছে, ফলে উদ্ধারকৃত অর্থের পরিমাণ অনেক বেড়ে যেতে পারে। এভাবে অর্থ লুকানো আছে এমন আরও অনেক স্থানের খবর পেয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। সেখান থেকে অর্থ উদ্ধার হতে পারে। আয়কর বিভাগ ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের ওড়িশাভিত্তিক মদের কারখানাগুলোর অফিসে তল্লাশি চালায়।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের সূত্রগুলো বলেছেন, তিনটি লোকেশনে কমপক্ষে সাতটি রুম এবং ৯টি লকার এখনও চেক করা হয়নি। ওইসব লোকেশনে নগদ অর্থ কাপ রাখার সেলফ সহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের ভিতরে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে অন্য স্থানগুলোতে আরও অর্থ বা স্বর্ণালংকার পাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে তারা নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। শনিবার অভিযান চালানো হয় বুদ্ধ ডিস্টিলারি এবং এর সঙ্গে যুক্ত অন্য অফিসগুলোতে। এর মধ্যে আছে বুদ্ধ ডিস্টিলারির গ্রুপ অব কোম্পানি বলদেব সাহু ইনফ্রা, একই মালিকের একটি চালের কলে। ঝাড়খন্ডে কংগ্রেসের এমপি ধীরাজ কুমার সাহুর প্রোপার্টি থেকে কয়েক কোটি রুপি উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর জনগণের কাছ থেকে লুট করা এসব অর্থ তাদেরকে ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এক্সে বলেন, দেশবাসীর এসব নোটের দিকে তাকানো উচিত এবং তাদের নেতারা যে সৎ বাণী দেন তা শোনা উচিত।
ওড়িশা থাকা বিজেপি সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের তদন্ত দাবি করেছে এবং ব্যাখ্যা দাবি করেছে। বিজেপির মুখপাত্র মনোজ মহাপাত্র ওড়িশার একজন নারী মন্ত্রীর কিছু ছবি দেখান। তাতে এক মদ বিক্রেতার সঙ্গে তাকে একই মঞ্চে দেখা যায়। ওই মদ বিক্রেতার অফিসেও অভিযান চালানো হয়েছে। বিজেপি মুখপাত্র বলেন, স্থানীয় নেতারা ও রাজ্য সরকারের সক্রিয় সমর্থন এবং মদত ছাড়া এই পরিমাণ রুপি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে জমানো সম্ভব নয়।