লেবাননে হামলা, হামাসের শীর্ষ এক নেতা নিহত

Published: 3 January 2024

পোস্ট ডেস্ক :


ইসরাইলি মুখপাত্র মার্ক রেগেভ বলেছেন, লেবাননের বৈরুতে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের উপনেতা সালে আল-আরুরি। তবে এই হামলা কে চালিয়েছে তা পরিষ্কার করে বলেননি তিনি। অন্যদিকে হামাসের এক নেতা বলেছেন, লেবাননের বৈরুতে হামলায় নিহত হননি সালেহ। তিনি নিহত হয়েছেন বৈরুতে বিস্ফোরণে। হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহ বলেছে, এটা লেবাননের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে হামলা। অন্যদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, লেবাননকে এই যুদ্ধে টেনে আনার চেষ্টা করছে ইসরাইল।

লেবাননের মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, সালেহ আল আরুরি বৈরুতের দক্ষিণে ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন। এই হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৬ জন। এর মধ্যে দু’জন হামাসের সামরিক কমান্ডার এবং চারজন সদস্য। কাসেম ব্রিগেডের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা সালেহ আল আরুরি। কাসেম ব্রিগেড হলো হামাসের সামরিক শাখা।

একই সঙ্গে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন সালেহ আল আরুরি। হিজবুল্লাহ ও হামাস গ্রুপের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতে তিনি লেবাননে অবস্থান করছিলেন। এই হত্যায় ইসরাইল জড়িত এটা বলা থেকে বিরত থেকেছেন ইসরাইলি মুখপাত্র মার্ক রেগেভ। এটা ইসরাইলি কর্মকর্তাদের একটি কৌশল। তিনি এমএসএনবিসিকে বলেছেন, যিনিই তাকে হত্যা করুক না কেন, এটা পরিষ্কার হতে হবে যে, এটা লেবানন রাষ্ট্রের ভিতরে কোনো হামলা নয়। এটা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে হামলাও ছিল না। যে বা যারাই করুক, এটা ছিল হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে একটি সার্জিক্যাল হামলা। এটা একেবারে পরিষ্কার।
সালেহ আল আরুরি (৫৭) হামাসের সবচেয়ে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে অন্যতম। ৭ই অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইল যুদ্ধ শুরু করার পর তিনিই এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সিনিয়র নেতা নিহত হলেন।