সুনামগঞ্জ ৪: ড. মোহাম্মদ সাদিক বিজয়ী

Published: 7 January 2024

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা :


সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিক ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৯১ হাজার ১০০ টি । আর তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান পেয়েছেন মাত্র ৩১ হাজার ৭০০ ভোট। এই আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ১১২টি।

 

এই আসনে ভোটার ৩ লক্ষ ৪১ হাজার ৮২৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩৬৬ জন এবং নারী ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৬১ জন। হিজরা ভোটার ২ জন। আসনের দুই উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ১১২টি ভোটকেন্দ্রে ভোট কক্ষ রাখা হয় ৭৪৫টি। এরমম্যে স্থায়ী ৭৩১টি এবং অস্থায়ী ১৪টি।

 

রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৮টায় প্রাপ্ত সর্বশেষ ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে। তবে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।

 

ড. মোহাম্মদ সাদিকের জন্ম ১৯৫৫ সালে, সুনামগঞ্জ শহরতলির ধারারগাঁও গ্রামে। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিএ ও এমএ ডিগ্রি ছাড়াও সিলেটের নাগরী লিপির ওপর গবেষণার জন্য ভারতের আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। সিভিল সার্ভিসের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে মোহাম্মদ সাদিক বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি শিক্ষা সচিব ও নির্বাচন কমিশন সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কিছুদিন পর সরকার ড. সাদিককে কর্মকমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়। পরে ২০১৬ সালের মে থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাংবিধানিক সংস্থাটির চেয়ারম্যান হিসেবেও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন সাদিক। এসময় তিনি পরিক্ষাপদ্ধতির নানা সংস্কারের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন ও চাকরিপ্রার্থী তরুণদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ড. সাদিকের সহধর্মিণী জেসমিন আরা বেগম অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ।

 

মোহাম্মদ সাদিক একজন কবি ও গবেষক হিসেবেও সমাদৃত। ২০১৭ সালে কবিতায় পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া জাতীয় কবিতা পরিষদ, এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব সহ বিভিন্ন সংগঠনে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও আজীবন সদস্য হিসেবে সম্পৃক্ততা রয়েছে তাঁর। সৎ, দক্ষ ও অভিজ্ঞ এই আমলার রাজনীতিতে আসার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে সুনামগঞ্জের মানুষ।