বন্ধুর হাতে খুন

Published: 2 February 2024

বিশেষ সংবাদদাতা :


নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার রাজগঞ্জে মাদকের ৫০ টাকার জন্যই খুন করা হয় অটোরিকশাচালক মামুনকে। খুনের দায় স্বীকার করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তার বন্ধু মাদককারবারি সোহাগ।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের অটোচালক মোহাম্মদ মামুনের পিতা কবির হোসেন ২৬ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

তিনি জানান, মামলা দায়েরের পর পুলিশ মামুনের বন্ধু ও মাদককারবারি সোহাগকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। একপর্যায়ে সোহাগ স্বীকার করেন মামুন আর তিনি সবসময় একসঙ্গে মাদক ও গাঁজা সেবন করতেন। মামুন তার কাছ থেকে নগদে ও বাকিতে মাদক সেবন করতেন। ঘটনার দিন এলাকার মাধবসিং গ্রামের সালাহউদ্দিন টিপুর বাগানে তারা গাঁজা খেতে যান। তখন মামুন বাঁকিতে গাজা খেতে চাইলে সোহাগ বকেয়া ৫০ টাকার জন্য চাপ দেন এবং নতুন করে বাকি দিতে অস্বীকার করেন। এতে মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। সোহাগ তখন মামুনের ওপর হামলা চালায় এবং একপর্যায়ে মামুনের তলপেটের অণ্ডকোষ লক্ষ্য করে লাথি মারলে মামুন অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন সোহাগ ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

এদিকে ২৬ জানুয়ারি সকালে মাধবসিং গ্রামের সালাহউদ্দিন টিপুর বাগানে মামুনের লাশ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে সোহাগ হত্যার দায় স্বীকার করে জুডিশিয়াল আদালত হাকিমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি রেকর্ড করার পর আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি সকালে অটোচালক মামুন অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যা ৬টায় বাড়ি ফিরে খাওয়া-দাওয়ার পর আবার অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ ব্যাপারে তার পিতা কবির হোসেন প্রথমে বেগমগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। লাশ পাওয়ার পর হত্যা মামলা করেন।