রমজানের চাঁদ – আর শুধু একটি জোমা মাঝে

Published: 2 March 2024

শফি আহমেদ

 

হিমালয় চূড়ায় হতে অথবা টেমস নদীর টাওয়ার ব্রিজের পারে, তারার পারের এক চিলতে নিথুয়া চাঁদ যেখানেই চোখে পড়ুক, বাঙালি হলে চৈতি তিথি দেখার মধুস্মৃতিতে মন মজে। কিন্তু এটা যদি হয় প্রথম দেখা পহেলা রমজানের চাঁদ, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। এক ঝলক চাঁদ দেখার সে কি আনন্দ, ছড়িয়ে পড়ে দেশে দেশে সারা মুসলিম বিশ্বে।

সত্যি জানি, স্বর্গীয় আল্পনা বাস্তব করে অবতীর্ণ হয় রমজানের পহেলা চাঁদ। অপার আনন্দে বরণ করে নেয় এ আগমন, বিশ্বের অর্ধেকের চেয়েও বেশি জনসমুদ্র। এর জুড়ি মেলে না অন্য কোথাও। না মর্তে, না কোনো মহারথীর মহাকাব্যে।

 

এমনি বিরল বেজোড়। পুণ্য ভারে ভরপুর, নৈসর্গিক মহিমায়, রমজানের চাঁদ আবারও উদয় হোক আপনার আমার সবার মাঝে – ইনশাআল্লাহ। আর শুধু একটি জোমা মাঝে!

 

রমজানের চাঁদ যেন এক অদৃশ্য সুতোয় গাঁথা যা বিশ্বব্যাপী মানবজাতির মাঝে একতা ও সম্প্রীতির বার্তা বহন করে। প্রত্যেক বছর, এই চাঁদটি উদয় হলে, এটি নতুন করে আমাদের মাঝে আশা ও উদ্দীপনা জাগায়। রমজানের চাঁদ দেখার মাধ্যমে, আমরা পুনরায় কোরান হাদিসের পবিত্র বার্তা ও শিক্ষাগুলির দিকে মনোনিবেশ করি, যা রমজান আমাদের জীবনে নিয়ে আসে। এই মাস আমাদের শেখায় ধৈর্য, আত্মসংযম, ও পরোপকারের মূল্য, যা আমাদের জীবনকে আরো সমৃদ্ধ ও অর্থপূর্ণ করে তোলে।

 

অতএব, এই লেখায় উপস্থাপিত রমজানের চাঁদের দৃশ্য কেবল একটি নয়নাভিরাম ঘটনা নয়, বরং এটি আমাদের জীবনে এক গভীর আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব রাখে, যা আমাদের আত্মার গভীরে স্পর্শ করে। রমজানের চাঁদের মলয় আলোয় আমরা নিজেদের ভেতরের শান্তি খুঁজে পাই, এবং এটি আমাদের সকলের মাঝে এক অভিন্ন বোধ তৈরি করে, যা আমাদের মাঝে এক অদ্বিতীয় বন্ধন সৃষ্টি করে।