পাল্লা দিয়ে গোলাবারুদ তৈরি করছে রাশিয়া

Published: 11 March 2024

পোস্ট ডেস্ক :

পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতি মাসে প্রায় আড়াই লাখ (বার্ষিক ৩ মিলিয়ন রাউন্ড) গোলাবারুদ তৈরি করছে রাশিয়া। সোমবার ন্যাটোর গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, এটি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেনে পাঠাতে পারে তার তিনগুণের বেশি পরিমাণ। একজন ইউরোপীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউক্রেনে পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ একসাথে বার্ষিক প্রায় ১.২ মিলিয়ন রাউন্ড গোলাবারুদ তৈরি করার ক্ষমতা রাখে।

মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ প্রতি মাসে এক লাখ আর্টিলারি শেল উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এটি রাশিয়ার মাসিক উৎপাদনের অর্ধেক। ন্যাটোর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়া চব্বিশ ঘণ্টা তার শেল উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন রাশিয়ান এখন প্রতিরক্ষা খাতে কাজ করছে। যুদ্ধের আগে ২ থেকে ২.৫ মিলিয়নের মধ্যে ছিল। এছাড়াও গোলাবারুদ আমদানিও করছে রাশিয়া।

ইরান গত বছর কমপক্ষে তিন লাখ গোলাবারুদ পাঠিয়েছে। উত্তর কোরিয়া লক্ষাধিক শেল বহনকারী গোলাবারুদের কমপক্ষে ছয় হাজার ৭০০ কনটেইনার সরবরাহ করেছে।

সম্প্রতি এক প্রাণঘাতী বোমা এফএবি-১৫০০’র ব্যবহারও বাড়িয়েছে রাশিয়া। মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়া তাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে পুরোপুরিভাবে যুদ্ধে নেমেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ন্যাটোর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা এখন যেটা করছি সেটা হলো উৎপাদন যুদ্ধ। ইউক্রেনের ফলাফল নির্ভর করে কিভাবে প্রতিটি পক্ষ এই যুদ্ধ পরিচালনা করবে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়া বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার গোলাবারুদ নিক্ষেপ করছে। যেখানে ইউক্রেন মাত্র দুই হাজারে আটকে আছে। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে জানিয়েছেন একজন ইউরোপীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা ইউক্রেনকে বেশ কয়েকটি উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র দিয়েছে।

তবে সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সবচেয়ে বেশি কামানের গোলা ছুড়েছে তার ওপর নির্ভর করে যুদ্ধটি কে জিতবে অথবা হারতে পারে। ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছে। একটি জার্মান প্রতিরক্ষা সংস্থা গত মাসে ঘোষণা করেছে, এটি ইউক্রেনে একটি গোলাবারুদ কারখানা খোলার পরিকল্পনা করছে। যেখানে প্রতি বছর কয়েক হাজার ১৫৫ মিমি. ক্যালিবার বুলেট তৈরি করা হবে।