মসজিদসহ বিভিন্ন ভবনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭১ ফিলিস্তিনি

Published: 30 March 2024

পোস্ট ডেস্ক :


গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বর হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছে। আবাসিক ভবন ও মসজিদসহ কিছুই বাদ যাচ্ছে না ইসরায়েলের হামলা থেকে। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩২ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে।

গাজার পার্শ্ববর্তী এলাকা সুজাইয়ার একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, পুলিশ স্টেশনে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলের এই অপরাধের জন্য আমরা মার্কিন প্রশাসন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়ী করছি। গাজার উপত্যকার স্পোর্টস সেন্টারে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের কাছে অবস্থিত সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস মসজিদে বোমা হামলায় অনেকে নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় সাতটি গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছে এমন নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা ৩২ হাজার ৬২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার শিশু এবং ৯ হাজার নারী রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ৮ হাজারের বেশি শিশু এবং ৬ হাজারের বেশি নারীসহ কমপক্ষে ৭৫ হাজার ৯২ জন ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার মানুষের জরুরি চিকিত্সা প্রয়োজন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, অনেক ফিলিস্তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ইসরায়েলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলার কারণে অনেক জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো পৌঁছাতে না পারায় এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে মরদেহ রয়েছে বলেও জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রায় ছয় মাস ধরে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে, যা গত ৭৫ বছরে ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা ইসরায়েলি আক্রমণে বাস্তুচ্যুত এবং তাদের সকলেই খাদ্য নিরাপত্তাহীন। অন্যদিকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কমেছে প্রায় অর্ধেক।

‘আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডন বলেছেন, সৌদি আরব এবং অন্যান্য আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদেরকে এ কথা বলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। বাইডেন আবারও গাজা যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনার কথা বলেন। তিনি দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ওপর জোর দেন। বাইডেন গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার ওপর জোর দেন। বাইডেন বলেন, আমি বিস্তারিত বলব না, তবে আমি সৌদি আরব এবং অন্যদের সঙ্গে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নিয়ে কাজ করছি। হয়তো এই ঘটনা আজকেই ঘটবে না। তবে এক্ষেত্রে অনেক আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ কথা বললেও ইসরায়েল এই প্রস্তাবে রাজি হবে কি না সেটাই দেখার বিষয়। কারণ ২০০২ সাল থেকেই এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা আছে।