মুসলিম জাহান যখন ঈদের আনন্দে, গাজাবাসী তখন হতাশায়
পোস্ট ডেস্ক :
সারা মুসলিম জাহান যখন পবিত্র ঈদের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন গাজাবাসী অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছে। তাদের চারপাশে শুধু ধ্বংসস্তূপ। বসবাসের উপযোগী কোনো স্থাপনা চোখে পড়ে না। পেটে খাবার নেই তাদের। অসুখে নেই ওষুধ। আছে বোমাতঙ্ক। চোখেমুখে হতাশা। মিশরের রাজধানী কায়রোতে যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার কথা শোনা যাচ্ছে তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। মিশরীয় মিডিয়া থেকে বলা হচ্ছে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু হামাস কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের দাবি অব্যাহতভাবে প্রত্যাখ্যান করছে ইসরাইল।
দক্ষিণের খান ইউনুস থেকে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়ার পর গাজাবাসী তাদের বিধ্বস্ত বাড়িঘরে ফেরা শুরু করেছেন। যেপথে তারা হাঁটছেন, চোখে যতদূর দেখতে পান- সবটাই ধুলোবালির স্তূপ। কে বলবে মাত্র ৬ মাস আগেও এসব স্থানে জনবসতি ছিল! মানুষের কলরবে মুখরিত হতো পথঘাট, হাটবাজার, স্কুল! ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, রোববার গাজা থেকে যেসব ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে, তাদেরকে ভবিষ্যত অপারেশনের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে। বিশেষ করে দক্ষিণের রাফা শহরে এই অপারেশন চালানো হবে। ফলে গাজায়, বিশেষ করে রাফায় ইসরাইল যে তাদের নৃশংসতা বন্ধ করছে এমনটা ভাবার কোনো অবকাশ নেই। বরং এই সেনা প্রত্যাহার হতে পারে তাদের ভবিষ্যত হামলার প্রস্তুতি। ৭ই অক্টোবর হামাসের রকেট হামলার পর ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। এ পর্যন্ত এই যুদ্ধে তারা কমপক্ষে ৩৩,১৭৫ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৫,৮৮৬ জনকে।