গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, হামাস নেতা তুরস্কে
পোস্ট ডেস্ক :
গাজার রাফা শহরে আবাসিক ভবনগুলোর ওপর ইসরাইলের নৃশংস বিমান হামলায় নারী ও শিশু সহ কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একই পরিবারের ৮ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ৭ই অক্টোবরের পর ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ সংখ্যা এখন ৩৪ হাজার ৪৯। এ অবস্থায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন স্বাধীনতাকামী গাজার যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়ে। হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই দুই নেতা গাজা যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করবেন। ইরানের সঙ্গে ইসরাইলের উত্তেজনার মধ্যে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি সেদিকে নিবদ্ধ রয়েছে। এই ফাঁকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অকাতরে গাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা, জিও নিউজ।
দ্বিতীয় দিনের মতো শনিবারও ইসরাইলি সেনারা পশ্চিমতীরের তুলকারেমে অবস্থিত নূর শামস শরণার্থী ক্যাম্পে অভিযান চালায়। এতে কমপক্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে একজন টিনেজার আছে। সাংবাদিকরা বলছেন, সেখানে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে। রাফা এলাকার আশপাশে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ইসরাইল। সেখানকার পূর্বদিকের কৃষিজমিকে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। ওদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ের।
এরদোগান ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরেছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে সফল হননি তিনি। তবে কাতার বলেছে, তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাদের ভূমিকাকে পুনর্মূল্যায়ন করছে। বুধবার দোহাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান’কে পাঠিয়েছেন এরদোগান। এর মধ্যদিয়ে তিনি আবার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখতে চান বলে ইঙ্গিত মিলেছে। ২০১১ সালে তুরস্ক ইসরাইলি সেনা গিলাদ শালিতকে মুক্ত করতে একটি চুক্তি করেছিল। তখন থেকেই তুরস্কে হামাসের একটি অফিস আছে। ওই সময় থেকেই ইসমাইল হানিয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন এরদোগান।
এরই মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনে শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। গাজায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ইউএনআরডব্লিউএ’র পরিচালক স্কট অ্যান্ডারসন বলেছেন, মানুষে মানুষে গাদাগাদি। আপনি দেখবেন প্রতিদিন মানুষ খাবার, পানি পাওয়ার জন্য লড়াই করছে। আর এখন তীব্র গরমে তারা একটু ছায়া পাওয়ার চেষ্টা করছে। এ সময়ে মশা নিয়ন্ত্রণ, মাছি নিয়ন্ত্রণ আবশ্যক হয়ে পড়েছে। চেষ্টা করা উচিত সার্বিক পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি করা।