উপজেলা নির্বাচন
দ্বিতীয় ধাপে ৬১ নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বিএনপির

Published: 2 May 2024

পোস্ট ডেস্ক :


দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অংশ নেয়ার ৭৩ জন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। এর মধ্যে ১২ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। আর ৬১ নেতা প্রত্যাহার না করায় এরই মধ্যে দল থেকে তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দলটির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন রয়েছেন। বিএনপি এখন যে ৬১ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা উপজেলা পরিষদে দ্বিতীয় ধাপের ভোটে রয়েছেন। দলের নির্দেশনার পরও তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। এরআগে প্রথম ধাপের ভোটে প্রার্থী থাকায় দল থেকে ৮১ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এরমধ্যে গত ২৬শে এপ্রিল ভোট বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৭৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। এরমধ্যে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন ২১ জন। একই অভিযোগ ২৭ এপ্রিল আরও তিন নেতাকে বহিষ্কার করে দলটি। এরমধ্যে দু’জন চেয়ারম্যান পদে এবং একজন ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন।

পরে ২৯ এপ্রিল চেয়ারম্যান পদে আরও এক নেতা এবং ৩০ এপ্রিল চেয়ারম্যান পদে ৪ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
এদিকে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন ৭৩ জন। এরমধ্যে ১২ নেতা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ জন চেয়ারম্যান পদে এবং ৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।
উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপেও বিএনপি নেতাদের অনেকে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের অবস্থানে থাকা দলটির বহিষ্কারের সংখ্যা দীর্ঘ হবে। যদিও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কারণে কিছু নেতা বহিষ্কার হলেও তাতে তাদের দলের কোনো ক্ষতি হবে না।

তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিলো ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয় ২ মে। আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ। গত ২১ মার্চ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা করা হয়। প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে।