যুক্তরাষ্ট্রকে কিমের সতর্কবার্তা

Published: 26 May 2024

পোস্ট ডেস্ক :


কোরীয় উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া গুপ্তচর বিমান ও জাহাজ উড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া। উভয় দেশকে অভিযুক্ত করে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জন উন বলেছেন, তাদের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড উত্তর কোরিয়ার জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং দেশের নিরাপত্তাকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করে।

জাতির সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা স্বার্থ লঙ্ঘন করা হলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন কিম। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও সতর্কবার্তা দিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম গ্যাং ইল। দেশটির বার্তা সংস্থা কেসিএনএর বরাত দিয়ে রোববার এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। রয়টার্স।

কিম গ্যাং ইল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোরীয় উপদ্বীপের ওপর তার আরএস-১৩৫ এবং ইউ-২এস কৌশলগত রিকনেসান্স বিমানের মধ্যে অন্তত ১৬টিসহ আরকিউ-৪বি ড্রোন উড়িয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মতে, গুপ্তচর বিমান এবং ড্রোনগুলো ১৩ থেকে ২৪ মে এর মধ্যে উড্ডয়ন করা হয়েছিল। ইল আরও বলেছেন, ‘বিভিন্ন সামরিক মহড়ার সঙ্গে এই ধরনের শত্রুতাপূর্ণ গুপ্তচরবৃত্তি আঞ্চলিক সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের সামুদ্রিক সীমান্তে এই ধরনের ঘন ঘন অনুপ্রবেশের ফলে ভয়াবহ পরিণতি ঘটবে।’ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বেলুনে প্রচারমূলক লিফলেট পাঠানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন ইল। এটিকে বিপজ্জনক উসকানি বলে অভিহিত করেছেন তিনি। এদিকে কিম দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষীদের এই অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি এবং আরও উত্তেজনা সৃষ্টির জন্যও যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন মোকাবিলায় জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো এই অঞ্চলে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। ইতোমধ্যে, পিয়ংইয়ং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং গোয়েন্দা উপগ্রহ উৎক্ষেপণ বিশ্বকে আরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।