কনজারভেটিভের নির্বাচনী ইশতেহার
১৮ বছর বয়স হলেই বাধ্যতামূলক যোগ দিতে হবে সেনাবাহিনীতে
পোস্ট ডেস্ক :
বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ নেতা ঋষি সুনাক তাঁর পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছেন যুক্তরাজ্যে কারও বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলেই সবাইকে বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে। এক বছরের জন্য কিংবা প্রত্যেক মাসের একটি সপ্তাহ শেষের ছুটির দিনে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে হবে সামাজিক কাজে। কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ব্যাপারটি সবার জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জানা যায়।
বিবিসি বলছে, আগামী ৪ঠা জুলাই বৃটেনের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্বাচনী ঘোষণা কাঁপিয়ে দিয়েছে প্রায় গোটা বৃটেনকে। সুনাকের এই নির্বাচনী ঘোষণা কার্যকর হলে রাজ পরিবারের সদস্যরাও তার আওতায় পড়বেন কি না তা নিয়েও সংশয় কাটছে না।
বৃটিশ প্রশাসনের সিনিয়র মন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের মতে, ‘গোটা দুনিয়ায় এই ধরনের ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম অল্পবয়সিদের সব দিক থেকে পরিপূর্ণ করে তুলতে সহায়ক করেছে।
কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচনী ইস্তাহার অনুযায়ী, ১৮ বছর বয়সীরা সেনাবাহিনীতে এক বছর কাজ করার জন্য পারিশ্রমিক পাবেন। তবে বৃটিশ রাজ পরিবারের সদস্যদেরও এই কাজে যোগ দেয়া বাধ্যতামূলক কিনা সেটা ঠিক করবে রয়্যাল কমিশন বলে জানিয়েছেন কনজারভেটিভ দলের একজন মুখপাত্র।
অতীতে বৃটিশ রাজ পরিবারের সদস্যদের সেনায় যোগ দেয়ার নজির রয়েছে। প্রিন্স উইলিয়াম নিজে সাড়ে সাত বছর সেনাবাহিনীতে পুরোদস্তুর কাজ করেছেন। গত সপ্তাহে কিং চার্লস আর্মি এয়ার কোর-এর কর্নেল-ইন-চিফের পদমর্যাদা প্রদান করেছেন প্রিন্স উইলিয়ামকে। একটা সময়ে বৃটেনে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদান ছিল বাধ্যতামূলক। ১৯৩৯-এর সেপ্টেম্বরে এই মর্মে আইন পাশ করে বৃটিশ পার্লামেন্টে। তবে এই ন্যাশনাল সার্ভিসের ব্যবস্থা ধীরে ধীরে উঠিয়ে দেয়া শুরু হয় এবং ১৯৬৩ সালে সম্পূর্ণভাবে উঠে যায়।
অনেকেই বলছেন, কনজারভেটিভ পার্টির এবারের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণায় প্রথম বড়সড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।