‘ড. ইউনূস প্যাথলজিক্যাল লায়ার’

Published: 3 June 2024

পোস্ট ডেস্ক :


নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘প্যাথলজিক্যাল লায়ার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা মাসুদ আখতার। তিনি বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি তার পরিবারকে সুবিধা দিয়েছেন।

দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ড. ইউনূস নিজে ও পরিবার কোনো সুবিধা নেননি বলে জানান। কিন্তু তিনি তার প্রিন্টিং প্রেসের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শতকোটি টাকার ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছেন এবং তা ৩০-৪০ শতাংশ বেশি দরে দিয়েছেন। ওই সময় গ্রামীণ ব্যাংকের এক জিএম এসবের প্রতিবাদ করলে তাকে নির্যাতন করারও তথ্য পাওয়া গেছে। ওই জিএমকে গৃহবন্দি করা হয়।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে ১৯৯৭ সাল থেকে। ড. ইউনূস ২০১১ সালে ব্যাংক ছাড়লেও পরবর্তী সময়ে তিনি তার দুর্নীতি ফাঁস করতে দেননি। কারণ, এরপর তার লোকজনই গ্রামীণ ব্যাংক চালিয়েছেন। তবে ২০২০ সালে এক অডিটে ভয়াবহ দুর্নীতির কথা উঠে আসে। আমাদের হাতে এগুলো আসে ২০২৩ সালে। আরও আসছে। মিথ্যাচারকে তিনি একটি আর্টফর্মে নিয়ে গিয়েছেন, সেটি দেখে ইংরেজিতে একটা কথা বলা হয়, মানুষ যখন মিথ্যা বলতে বলতে এমন অবস্থা চলে যায় যে, তখন সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। তখন তাকে বলা হয় প্যাথলজিক্যাল লায়ার।

আইনজীবীর মাধ্যমে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে ভুল ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন জানিয়ে জানিয়ে মাসুদ আখতার বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সৃষ্টি নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন তারা। ড. ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকাকালীন ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে রিসার্চ প্রজেক্টের দায়িত্ব পালন করেন। পরে কৃষি মন্ত্রণালয়ে সেই প্রজেক্ট নিয়ে যান। তখন কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের সৃষ্টি হয়। যার দায়িত্বে ছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে বিনিয়োগ ছিল সরকারের, তার কিছুই না।

তিনি বলেন, ড. ইউনূস ও তার বাবার প্যাকেজেজ করপোরেশনটি (ছাপাখানা) ঋণের ভারে জর্জরিত ছিল। এ প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে ড. ইউনূস ঋণ ছাড় করেন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে। আবার তিনি তা মওকুফ করেন, যা তিনি করতে পারেন না। আমরা তাকে আঘাত করিনি। তার অপকর্মগুলো তুলে ধরেছি। প্যাকেজেজ করপোরেশনকে তিনি গ্রামীণ ব্যাংককে দিয়ে দিয়েছেন বলে যে বক্তব্য দেন, আসলে সেটা ঠিক নয়। এ ধরনের কোনো দলিল গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে নেই। এখনও সেই প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যক্তিগতভাবে রয়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন ড. ইউনূস ও তার আইনজীবী। তারই জবাবে সোমবার হাইকোর্টে সংবাদ সম্মেলন করেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান আইন উপদেষ্টা।