এক যুগ পর ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন
পোস্ট ডেস্ক :
শুরুতে দুই দলই খেললো ঢিলেঢালা ফুটবল। যেন ফাইনালের উত্তাপটা একটু গায়ে মেখে নিতে চাইছিল তারা। এতে করে প্রথমার্ধে গোলের দেখা পেলো না তারা। তবে বিরতি থেকে ফিরে শুরুতেই এগিয়ে যায় স্পেন। তাতে আক্রমণে ধাচও বাড়ে দলটির। এরপর ইংল্যান্ড সেটা শোধ করে দেয়। তবে নির্ধারিত সময়ের একদম শেষ দিকের গোলে জয় পায় স্পেন। এই জয়ে এক যুগ পর ইউরোতে শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলো লুইস ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
বার্লিনে আজ ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে স্পেন। নিকো উইলিয়ামস স্পেনকে এগিয়ে দেওয়ার পর কোল পালমারের গোলে সমতায় ফেরে ইংলিশরা। এরপর মিকেল ওয়ারজাবালের গোলে আবার লিড নেয় স্প্যানিশরা।
যে গোলের লিড ধরে রেখে শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতে স্পেন। আর টানা দুইবার ফাইনালে উঠেও ইউরোর শিরোপা জেতা হলো না ইংলিশদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঝমাঠের ভরসা রদ্রিকে বসিয়ে আরেক মিডফিল্ডার মার্তিন জুবিমেন্দিকে নামান স্পেন কোচ। এবং দ্বিতীয় মিনিটেই গোল আদায় করে নেয় তারা। ৪৬তম মিনিটে ডান উইং ধরে একটু এগিয়ে বক্সে অন্য পাশে উইলিয়ামসকে খুঁজে নেন ইয়ামাল। আর বিনা বাধায় দারুণ কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন অ্যাটলেটিকো বিলবাও ফরোয়ার্ড।
৭৩তম মিনিটে দারুণ এক গোলে সমতা টানেন তিন মিনিট আগেই বদলি নামা পালমার। বুকায়ো সাকার পাস বক্সে ধরে শট নেওয়ার মতো জায়গা না পেয়ে ব্যাকপাস করেন বেলিংহ্যাম, আর ২২ গজ দূর থেকে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন চেলসি ফরোয়ার্ড।
৮৬তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে ছয় গজ বক্সের মুখে দারুণ এক পাস বাড়ান মার্ক কুকুরেইয়া। আর ডান পায়ের স্লাইড শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মোরাতার বদলি নামা ওইয়ারসাবাল।