পোস্ট ডেস্ক :

আলাস্কার উনালাকলিট থেকে নোমে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বেরিং এয়ারের যাত্রীবাহী বিমানটির খোঁজ মিলেছে। সেটি আলাস্কার বুকেই ভেঙে পড়েছে। এতে বিমানের চালক এবং ৯ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছেন। বিমানটি ছিল মার্কিন বিমান পরিষেবা সংস্থা বেরিং এয়ারের একটি সেসনা ক্যাটাগরির বিমান। এ ক্যাটাগরির বিমানগুলো ছোট আকারের হয়। বেরিং এয়ারের অপারেশন বিভাগের পরিচালক ডেভিড ওলসেন মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩৭ মিনিটে আলাস্কার পশ্চিমাঞ্চলে উনালাকলিট থেকে নরটন সাউন্ড এলাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল উড়োজাহাজটি। উনালাকলিট থেকে নরটন সাউন্ডের দূরত্ব ১৪০ মাইল।

যাত্রা শুরুর ৪৫ মিনিটের মধ্যেই উড়োজাহাজটি থেকে রাডারে সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। মার্কিন কোস্টগার্ড আলাস্কা অঙ্গরাজ্য শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কমোডর বেঞ্জামিন ম্যাকলিনটায়ার-কোবল এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, রাডারের রেকর্ড বলছে, সর্বশেষ বিকেল ৩টা ১৮ মিনিটে সংকেত এসেছিল বিমানটি থেকে। আমরা ধারণা করছি, বিমানটির ইঞ্জিনে এমন কোনো গুরুতর ত্রুটি ঘটেছিল, যার ফলে এটি বাতাসে ভেসে থাকার ক্ষমতা এবং ওড়ার গতি হারিয়ে ফেলেছিল। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার ২৪-এর তথ্য অনুসারে, বেরিং এয়ার হলো আলাস্কাভিত্তিক একটি আঞ্চলিক বিমান সংস্থা। এটি প্রায় ৩৯টি বিমান এবং হেলিকপ্টার পরিচালনা করে।

মার্কিন সরকারের জাতীয় পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, আলাস্কায় অন্যান্য মার্কিন রাজ্যের তুলনায় বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি। আলাস্কায় পাহাড়ি ভূখণ্ড এবং প্রতিকূল আবহাওয়া এর মূল কারণ। অনেক গ্রাম রাস্তা দিয়ে সংযুক্ত নয়। ওইসব এলাকায় মানুষ এবং পণ্য পরিবহনের জন্য ছোট উড়োজাহাজ ব্যবহার করেন। দিন কয়েক আগেই একটি মার্কিন সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সাথে যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষ হয়, যার ফলে মোট ৬৭ জন নিহত হয়। এর পরেই ফিলাডেলফিয়ায় মেডিকেল বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সাতজন নিহত এবং ১৯ জন আহত হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দুর্ঘটনার কবলে মার্কিন বিমান।