ভারতের উত্তরাখন্ডে উদ্ধারকাজ শেষ, তুষারধসে মৃত ৮
কলকাতা : ভারতের উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলা মানা গ্রামে তুষারধসে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ রবিবার শেষ হয়েছে বলে রবিবার সেই উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দেহরাদূনের জনসংযোগ আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মণীশ শ্রীবাস্তব।। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আটকে পড়া শ্রমিকদের শেষ জনের দেহের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এদিন দুপুর নাগাদ । তাঁর দেহ উদ্ধারের পরে তুষারধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। হাসপাতালে ভর্তি ৪ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। ৪৬ জন শ্রমিকের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। শুক্রবার চামোলির মানা গ্রামে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও)-র শিবিরে তুষারধস নেমে আটকে পড়েছিলেন ৫৪ জন শ্রমিক।
শুক্রবার রাতে খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ চালানো যায় নি। তবে শনিবার জোর কদমে উদ্ধারকাজ শুরু করে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। এই চার বাহিনীর প্রায় ২০০ জন মিলে চালান তল্লাশি। উদ্ধারকাজে নামানো হয় হেলিকপ্টারও। তাতেও সুরাহা না হওয়ায় ভিকটিম লোকেটিং ক্যামেরা, থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। আটকে থাকা শ্রমিকদের খোঁজে নামানো হয় কুকুরও।
ভারতীয় সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার প্রায় ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে তিন জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এক জনের মৃত্যু হয় জোশীমঠে সেনা হাসপাতালে। তয়
রবিবার সকাল থেকে বাকি নিখোঁজদের খোঁজে আবার শুরু হয় উদ্ধারকাজ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার প্রথমে তিন শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়। শেষে রবিবার দুপুর নাগাদ শেষ শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা হয়।