বালাগঞ্জে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

Published: 9 October 2020

সিলেট অফিস : সিলেটের বালাগঞ্জে এক কিশোরীকে (১৫) তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় কিশোরীর মামা বাদী হয়ে ৫ অক্টোবর বালাগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের নশিওরপুর গ্রামের লকুছ মিয়ার ছেলে হাসান মিয়া (২৫) ও একই গ্রামের ফজর আলীর ছেলে রাজন মিয়াকে (১৯) অভিযুক্ত করা হয়ছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীর বাবার মৃত্যুর পর তার মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে হয় উপজেলার নশিওরপুর গ্রামে। কিশোরী তার মামার তত্ত্বাবধানেই লালিত-পালিত হচ্ছে। কিশোরীকে রাস্তা-ঘাটে পেলে নশিওরপুর গ্রামের হাসান প্রায়ই তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিত। এতে কিশোরী অসম্মতি জানালে হাসান তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।

১ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে ওই কিশোরী মামার বাড়ি থেকে বের হয়ে তার সৎবাবার বাড়ি নশিওরপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। বেলা পৌনে ১২টার দিকে সে উপজেলার মোরার বাজারস্থ সিএনজি স্ট্যান্ডে পৌঁছে।

ওই সময় সিএনজি স্ট্যান্ডে থাকা হাসান কিশোরীকে নশিওরপুর পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তার অটোতে উঠায়। এরপর নশিওরপুর এলাকায় গিয়ে অটোরিকশা বদল করে জোর করে কিশোরীকে রাজনের সিএনজিচালিত অটোতে উঠিয়ে সিলেট শহরের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই কিশোরী সরল প্রকৃতির ও কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রায় সময়ই তাকে স্থানীয় এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।

বালাগঞ্জ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান অভিযুক্ত হাসানকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির মানসিক কোনো সমস্যা আছে কি না মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে।