রবিনহো ধর্ষণ করেননি!
পোস্ট ডেস্ক : ছিলেন কিংদন্তিদের কাতারে, বিশ্বজুড়ে তার কোটি কোটি ভক্ত ছিল। সেই রবিনহো এখন একজন ঘৃণ্য ব্যক্তি।
তার নামের পাশে ‘ধর্ষক’ তকমা জুটে গেছে। ব্রাজিলের এই সাবেক সুপারস্টার ৭ বছর আগে ইতালির এক নৈশক্লাবে আলবেনিয়ার এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেছিলেন। এজন্য ২০১৭ সালে ইতালির আদালত তাকে ৭ বছরের জেলের সাজা শোনানো হয়। সাজা থেকে বাঁচতে রবিনহো এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ইতালিতে আর পা রাখেননি। কিন্তু জেলের সাজা থেকে পালিয়ে বাঁচলেও সম্মান বাঁচাবেন কিভাবে? তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই ধর্ষক বলে গালি দিচ্ছে মানুষ। রবিনহোর জীবন হয়ে উঠেছে বিষাক্ত।
কিছুদিন আগে নামেমাত্র বেতনে নিজের শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরেছিলেন রবিনহো। উদ্দেশ্য ছিল প্রিয় ক্লাবকে সাহায্য করা। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ। এর মধ্যেই ধর্ষণের ঘটনায় রবিনহোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে সান্তোস। পারস্পরিক সম্মতিতেই দুই পক্ষ গত ১০ অক্টোবর সই করা চুক্তি বাতিল হয়েছে। চুক্তি হারিয়ে আবশেষে মুখ খুলেছেন রবিনহো। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, তিনি ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজ করেননি।
ব্রাজিলের গণমাধ্যমে রবিনহো বলেছেন, ‘একটা মেয়ে আমার কাছে এলো। তার সম্মতিতেই আমরা কাছাকাছি আসি। তারপর আমি বাসায় চলে গেলাম। যখন আমার কাছে এল, তখন ও নেশাগ্রস্ত ছিল না। কারণ আমার নাম ওর ঠিকই মনে আছে। ওর মনে আছে আমি কে। যে মদ খেয়ে নেশাগ্রস্ত থাকে তার তো এত কিছু মনে থাকার কথা না। কিন্তু তার ঠিকই মনে আছে সব। তবে আমি কাউকে ধর্ষণ করার মতো অপরাধ করিনি। কোনো মেয়ের সঙ্গে তার সম্মতির বাইরে কিছু করিনি।
তবে স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করার আক্ষেপে ভূগছেন রবিনহো। তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস নিয়েই আমার আক্ষেপ আছে, আমার স্ত্রীর সঙ্গে আমি প্রতারণা করেছিলাম। এটা আমাকে কষ্ট দেয়। তখন পত্র-পত্রিকার বিক্রিবাট্টা বাড়ানোর জন্য অনেক উল্টোপাল্টা লেখা হয়েছিল। গত সাত বছরে আমার মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই ঘটনাটা ২০১৩ সালে ঘটেছিল, আর এর পর আমার পরিবর্তন শুধু ভালোর দিকেই হয়েছে। প্রশ্ন হলো, আমি কোন ভুলটা করেছি? কোন অপরাধটা করেছি আমি? অপরাধটা ছিল, আমি আমার স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত ছিলাম না। তবে কোনো মেয়েকে নির্যাতন করার মতো ঘটনা ঘটাইনি।’