অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যু
পোস্ট ডেস্ক : অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে এক স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যু হয়েছে। ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা (এএনভিআইএসএ) জানিয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেওয়া একজন স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ওই স্বেচ্ছাসেবীকে ভ্যাকসিন নাকি প্লাসবো (শুধু ওষুধ) দেওয়া হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি। অক্সফোর্ডের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে যে, ট্রায়াল চালিয়ে যাওয়া হবে। তবে কিভাবে ওই স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যু হলো সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
এক বিবৃতিতে অক্সফোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্রাজিলে স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যুর বিষয়টি সতর্কভাবে খতিয়ে দেখার পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নিরাপত্তা নিয়ে এখন আর কোনও উদ্বেগ নেই। ট্রায়াল চালিয়ে যাওয়া উচিত বলেও জানানো হয়েছে।
ব্রাজিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সেফোর্ডের টিকার তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার সমন্বয়ে সহায়তাকারী সাও পাওলো ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, মারা যাওয়া স্বেচ্ছাসেবী ব্রাজিলের নাগরিক।
এর আগে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া যুক্তরাজ্যে এক অংশগ্রহণকারী অসুস্থ হয়ে পড়ায় ট্রায়াল সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকেই বন্ধ আছে। এ সপ্তাহেই তা আবার শুরু হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে সিএনএন বলছে, মারা যাওয়া ওই স্বেচ্ছাসেবীর বয়স ২৮ বছর। তিনি রিও ডে জেনেইরোতে বাস করতেন।
বিশ্বের অনেক দেশেই করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। বেশ কিছু ভ্যাকসিন ইতোমধ্যেই মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। যে কয়টি ভ্যাকসিনের কাজ এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে তার মধ্যে অন্যতম অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রেজেনেকার যৌথ উদ্যোগে এই ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের শেষের দিকেই হয়তো অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেবে দেশটির স্বাস্থ্য দফতর।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় ৪২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী এতে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে ১০ হাজার এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এটি পুশ করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ব্রাজিলেও কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছে।
গত ২ জুন দেশের দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার এই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের অনুমোদন দেয় ব্রাজিল সরকার। কিন্তু সম্প্রতি এক স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যুতে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।