৫৪ ধারার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন ২১৯ প্রবাসী
বিশেষ সংবাদদাতা : মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ থেকে ফেরত আসা ২১৯ প্রবাসীকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
উচ্চ আদালতকে জানিয়েছে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিএমএম কোর্ট)। এখন থেকে তাদেরকে আর এ মামলায় হাজিরা দিতে হবে না বলে জানানো হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও ফুয়াদ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বলেন, বিদেশ ফেরতরা সেসব দেশে নানা অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদেরকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। দেশে আসার পর তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হলে তুরাগ থানায় জিডি করে তাদেরকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য শলা-পরামর্শ করছিলেন। ৪ঠা জুলাই তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর মধ্যে বাহারাইন থেকে আসা চাঁদপুরের শাহিন আলমও রয়েছেন। ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি জামিন পান। এরপর তার বিরুদ্ধে ৫৪ ধারা চলমান কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আজ ফেরত আসা ২১৯ প্রবাসীকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর সম্প্রতি ভিয়েতনাম ও কাতার থেকে ফেরা ৮৩ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে ৫৪ ধারার চলমান তদন্ত কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি কার্যক্রম বাতিলে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন। গত ৮ই অক্টোবর হাইকোর্ট শাহিনের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন। পাশাপাশি ঢাকার সিএমএম-এর কাছেও ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন উচ্চ আদালত।
গত ১৮ আগস্ট ভিয়েতনাম থেকে ১০৬ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। করোনার জন্য তাদেরকে রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ী ক্যাম্পে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। ৩১ আগস্ট কোয়ারেন্টিন শেষ হয় তাদের। এর পর সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ১০৬ জনের মধ্যে অভিযুক্ত ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১লা সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।