যে ভাবে মুসলিম প্রেমিকাকে বিয়ে করেন আগারকার

Published: 30 November 2020

পোস্ট ডেস্ক : প্রেমিকা ছিলেন বন্ধুর বোন। বন্ধু মাজহার ছিলেন ক্রিকেটার।

তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বাইয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ক্রিকেটের সূত্রে আগারকার এবং মাজহার বন্ধু ছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে আগারকারের খেলা দেখতে আসতেন মাজহার। সঙ্গে আসতেন তার ছোট বোন ফতিমা ঘড়িয়ালি। খেলা দেখতে দেখতেই সাবেক ভারতীয় পেস তারকা আগারকারের প্রেমে পড়ে যান ফতিমা। আগরকারও তাকে মন দিয়ে দেন। এভাবেই শুরু হয় ভিন্নধর্মী দুটি মানুষের বিয়ের গল্প।

আগারকারের স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। তবে ছোট থেকে তিনি মন দিয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে। কৈশোরে শচীন টেন্ডুলকারের কোচ রমাকান্ত আচরেকরের প্রশিক্ষণে তার খেলার গতিপথ বদলে যায়। দ্রোণাচার্যের চোখ বুঝেছিল শিষ্যের বিশেষত্ব লুকিয়ে আছে বোলিংয়ে। তাঁর কথাতেই ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি আগারকার মন দেন পেস বোলিংয়ে। আচরেকরের আর এক বিশ্বসেরা শিষ্য তেন্ডুলকরের মতো আগারকারও স্কুল পরিবর্তন করে ভর্তি হয়েছিলেন সারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরে। তবে স্কুল স্তরেও ঝোড়ো ব্যাটিং বজায় রেখেছিলেন আগারকার। অনূর্ধ্ব ১৫ এবং অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে প্রচুর রান করেছেন।

১৯৯৮ সালে আগারকারের সামনে জাতীয় দলের দরজা খুলে যায়। সে বছর এপ্রিল মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়। একই বছরের অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হয়ে যায় টেস্ট অভিষেক। অন্যান্য পেসারদের মতো শারীরিক উচ্চতা না থাকলেও ফাস্ট বোলিংয়ে সমস্যা হয়নি আগারকারের। ৯০ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিবেগেও বোলিং করেছেন তিনি। ওয়ানডেতে তিনি ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ১৯১ ওয়ানডেতে আগারকারের মোট উইকেট ২৮৮। সেরা গড় ৪২ রানে ৬ উইকেট। মোট রান করেছেন ১২৬৯। সর্বোচ্চ ৯৫।

জীবনের সব ওঠাপড়ায় আগারকারে পাশে ছিলেন স্ত্রী ফতিমা। ৩ বছরের প্রেমপর্বের পর ২০০২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হয়। দুই জনের দুই ধর্ম বিয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ঘরোয়াভাবে আয়োজিত বিয়ের অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র স্বজন এবং কাছের বন্ধুরা আমন্ত্রিত ছিলেন। পরে রাজকীয় রিসেপশনে উপস্থিত ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার থেকে শুরু করে ভারতীয় দলের সদস্যরা। এখন একমাত্র সন্তান রাজকে নিয়ে আগারকার এবং ফতিমার ভরপুর সংসার।