করোনায় মাঝে বড় দিন পালন এবং ঘরের বাহিরে স্বাক্ষাৎ প্রিয়জনদের
মো: রেজাউল করিম মৃধা : খ্রিস্টান ধর্মের সবচেয়ে উৎসব মুখুর এবং ধর্মীয় ভাবে যে দিনটি পালিত হয় প্রতিবছর ২৫শে ডিসেম্বর। যিশুর ভক্ত অনুসারীরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদার সাথেই দিন পালন করা হয়ে থাকে।
এই বছর করোনাভাইরস মহামারির কারনে সেই উৎসব আর নেই। মহামারি থেকে জীবন বাঁচাতে সরকার জরুরী আইন ঘোষনা করেছে। করোনার প্রভাবের উপর ভিত্তি করে ব্রিটেনের কোথাও কোথাও টিয়ার ৪ ঘোষনা করা হয়েছে।
এশিয়া, আফ্রিকা,ইউরোপ আমেরিকা সহ সারা বিশ্বে বড় দিন পালিত হয়েছে ঘরোয়া পরিবেশে। সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে অনেক দেশেই পালিত হয়েছে দিনটি।
ইংল্যান্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বড় দিনের শুভেচ্ছায় বলেছেন,”আপনি একা নন,” আমরা আপনাদের সাথে আছি। “মনে রাখবেন অন্ধকারের পরে আলো আসবেই, আমরা সেই আলোর অপেক্ষায় আছি,”।
যদিও ব্রিটিশ সরকার বড় দিন উপলক্ষে টিয়ার ফের এর মাঝেও ৫ দিনের শিথিলতা আনতে চেয়েছিলেন পরিবার বা নিকট আত্বীয়দের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য কিন্তু করোনার পাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।টিয়ার -৪ এর কঠিন নিয়ম মেনে চলতে হচ্ছে সবাইকে।
তাই বাবা মা আত্বীয় পরিজনের সাথে এবারের বড় দিনের অনুস্ঠান করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। কিন্তু পরিবারের প্রিয়জনকে উপহার দিতে বা এক নজর দেখা করা। মনকে কিছুতেই ধরে রাখতে পারছেন না অনেকেই তাই প্রিয়জনের সাথে ঘরের বাহিরেই দেখা করেছেন অনেক বৃটেন বাসী।হাতে উপহার দিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন অনেকেই।
ব্রিটেনের গীর্জায় গীর্জায় চলে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে প্রার্থনা। সবাই দোওয়া করেছেন আল্লাহ যেন এই মহামারি করোনাভাইরস থেকে মুক্তি দান করেন।
প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর দিনটি যিশুর জন্মদিন হিসেবেই পালন করা হয়। ইতিহাস বলে ২৪ ডিসেম্বর রাতে বেথেলহেমের এক গোশালায় কুমারী মা মেরীর কোলে জন্ম হয় যিশুর। বলা হয় বিশ্ব থেকে হিংসা ভেদাভেদ মুছে ফেলতেই যিশুর জন্ম হয়।
বড়দিন হল যিশুখ্রিস্টের জন্ম উদযাপনকারী দিবস, যা সারা বিশ্ব জুড়ে পালন করা হয়। যিশুখ্রিস্ট ঠিক কোন্ তারিখে জন্ম নিয়েছিলেন, তা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ৩৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে পুণ্যপিতা (পোপ) ১ম জুলিয়াসের নির্দেশ অনুযায়ী খ্রিস্টান মন্ডলীগুলি ২৫শে ডিসেম্বর তারিখের দিবসটিকে প্রতীকীভাবে খ্রিস্টের জন্মবার্ষিকী তথা বড়দিন হিসেবে পালন করে আসছে।
বৈষয়িক করোনাভাইরাস মহামারির কারনে বড় দিনকে সীমিত আকারে ঘরের মানুষদের নিয়ে পালিত হয়েছে।বড় দিনের তাৎপর্য এবং মহিমায়, হিংসা বিদ্বেষ ভুলে মানুষের সেবা করাই হচ্ছে বড় কথা। আসুন আমরা হিংসা বিদ্বেষ ভুলে সবাই সবার জন্য দোওয়া করি । আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থ্য রাখুন এবং এই করোনাভাইরস মহামারি থেকে মুক্তি দান করুন।