জুড়ীতে সরকারী বিদ্যালয়ের মাঠ দখলের প্রতিবাদে মানবন্ধন
জুড়ী প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারে জুড়ী হরিরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়( রেল ষ্টেশন)খেলার মাঠ গর্ত করে মাটি কাটা ও জবর দখলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।
জুড়ী উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহ সভাপতি, জুড়ী উপজেলার বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, ক্রিকেটার মাহবুবুল ইসলাম কাজল এর সভাপতিত্বে জুড়ী উপজেলার তরুন সংগঠক,উপজেলা ব্যাডমিন্টন এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও প্রাক্তন ফুটবলার, ক্রিকেটার মহরম মজুমদার ও যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আহমদ এর যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্বা এম এ মোঈদ ফারুক, পঃজুড়ী ইউনিয়নের সাবেক তিনবারের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন আহমদ মইজন,আওয়ামীলীগনেতা আব্দুল লতিফ, জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, প্রথম আলো প্রতিনিধি কল্যাণ প্রসূণ চম্পু, জুড়ী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখরুল ইসলাম,পঃজুড়ী ইউপি সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মামুনুর রশীদ মামুন,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক চন্দন দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক কয়েছ আহমেদ,এপেক্স ক্লাব অব জুড়ী ভ্যালীর সেক্রেটারি এন্ড ডিএনএডিটর প্রভাষক এপেঃ জহিরুল ইসলাম সরকার, ক্রিকেটার জাকির আহমদ, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, ক্রিকেটার আরিফুল ইসলাম,জুড়ী উপজেলা ফাউন্ডেশনের সভাপতি কামরুল ইসলাম পলাশ,মানব ঠিকানা প্রতিনিধি হারিছ মোহাম্মদ, জায়ফরনগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন চিকন, ,রাজিব আহমদ,জুড়ী উপজেলা ক্রিকেট এসোসিয়েশন ( কোয়াব) এর সভাপতি আব্দুল আউয়াল।
উপস্হিত ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার জুড়ী প্রতিনিধি কামরুল হাসান নোমান,দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার জুড়ী প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম সহ জুড়ী উপজেলার সর্বস্তরের নাগরিক।
মানববন্ধন প্রসঙ্গে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, পঃজুড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবের হাসান জেবলু বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ কেউ দখল করে নাই।বিদ্যালয়ের ৩৩ শতক জমি বিদ্যালয়ের দখলে রয়েছে।বিদ্যালয়ের দক্ষিণ সীমানায় একটি গোপাট ছিল।যা বর্তমানে ভরাট হয়ে যাওয়ায় রেল লাইনের নীচের নালা হতে জুড়ী নদীতে পানি নিষ্কাসন হচ্ছে না। বাকি জমি ১৭৫ নং খতিয়ানের আর এস দাগ নং ১৩০ আইয়ুব আলীর পুত্র মৌলা মিয়া নামের রেকর্ডীয় মালিকানাধীন। ১৯৯৫ সালে বড়লেখা উপজেলা সেটেলম্যান্ট জরিপ হয়।তিনি প্রশ্ন করেন, তৎকালিন সময়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন অত্র এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি(অবঃ) মোঃ সুলেমান মজুমদার।তিনি ৩৩ শতকের বাহিরে বিদ্যালয়ের কোনো জমি রেকর্ড করে গেলেন না কেনে? তিনি আরও বলেন,মাননীয় পরিবেশ,বনও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য ৭ টন গম বরাদ্দ দিয়েছেন।আমরা বিদ্যালয়ের নির্ধারিত মাঠ ভরাটের কাজ করে যাচ্ছি।
মাঠ দখলকারী হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তি মৌলা মিয়ার পুত্র নাজিম উদ্দীন বলেন,আমার পিতার নামীয় ১৯ শতক রেকর্ডভুক্ত জমি হইতে বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের উন্নয়নে কিছু মাটি দিতে গেলে কিছু মানুষ অভিযোগ করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রুহুল ইসলাম বলেন,জনৈক নাজিম উদ্দীন কে অনুমতি ছাড়া জমির শ্রেণী পরিবর্তন না করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।মাঠের বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা উচিত।