জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হাকালুকিতে ক্যাম্পিং
বড়লেখা প্রতিনিধি : হাকালুকি হাওরের বড়লেখা অংশে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে হাওর পাড়ের মানুষের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে হাকালুকি হাওরে দু’দিন ব্যাপী ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়।
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাছরাঙা প্রকাশন এ ক্যাম্পিংয়ের আয়োজন করে। উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের হাকালুকি হাওরে বন বিভাগের হাকালুকি বিট কার্যালয় এলাকায় গত শুক্র ও শনিবার দু’দিন ব্যাপী এ ক্যাম্পিং হয়।
প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের তাগিদে জলবায়ু পরিবর্তনের নানামুখী নেতিবাচক প্রভাবের কথা মানুষকে অবগত করতে দ্বিতীয়বারের মতো এর আয়োজন করেছে। এছাড়া ক্যাম্পিং- এ প্লাস্টিক সামগ্রী বর্জন, পরিযায়ী পাখি নিধন রোধ করতে স্থানীয় লোকজনকে সচেতন করা হয়।
আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হাকালুকি ক্যাম্পিংয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বড়লেখা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্যাম্পিংয়ের প্রধান সমন্বয়ক আবুল কাসেম। গণমাধ্যমকর্মী জামিদুল ইসলাম নাহিদের সঞ্চালনায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ওপর আলোচনা করেন তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস, নারী শিক্ষা একাডেমি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক এমএ হাসান, মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, আলীফ সুবহান চৌধুরী সরকারি কলেজের প্রভাষক মাসুক মিয়া, বাহুবল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুনায়েদ আহমদ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যাম্পিংয়ের সহযোগী সমন্বয়ক রাজেশ দেব নাথ ও অম্লান দাস সৌরভ। রাত ১১টায় ক্যাম্প ফায়ার করা হয়। এরপর স্থানীয় ও অতিথি লোকশিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। গানের ফাঁকে ফাঁকে স্থানীয় লোকজনকে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের বিষয়ে ধারণা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ক্যাম্পিংয়ে আসা সকলকে মাস্ক পরিয়ে দেয়া হয়। পরদিন শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাওরে আসা পর্যটক ও স্থানীয় শ্রমজীবী মানুষের সাথে হাওরের পরিবেশ সুরক্ষায় করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বিকেলে পর্যটক ও স্থানীয় লোকজনের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারপ্রত্র বিলির মাধ্যমে ক্যাম্পিংয়ের সমাপ্তি টানা হয়।
হাকালুকি ক্যাম্পিং সমন্বয়ক প্রাইমারী শিক্ষক মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ‘হাওর এলাকায় আসা পর্যটকরা পানিতে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী, পলিথিনের প্যাকেট ইত্যাদি ফেলেন। এগুলোর কিছু পচনশীল, আবার কিছু অপচনশীল। এসব কারণে ক্রমেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাওরের পরিবেশ। এঅবস্থায় হাওরের পানি বিভিন্ন জলজ প্রাণীর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এগুলোর নেতিবাচক প্রভাবের কথা মানুষকে অবগত করতে দ্বিতীয়বারের মতো আমরা হাওর এলাকায় ক্যাম্পিং করেছি।’