কুলাউড়ায় পাহাড় কাটার দায়ে ১৩ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা

Published: 7 January 2021

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে টিলা কেটে রাস্তা প্রশস্ত করণের অপরাধে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ তিন জনকে ১৩ লাখ ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয়ে শুনানি শেষে এ জরিমানা করা হয়।

স্থানীয় ও পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় জয়চন্ডী ইউনিয়নের রংগীরকুল থেকে পাঁচপীর জালাই এলাকা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার একটি পুরাতন কাঁচা রাস্তা সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকল্প অফিসের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১৩২ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ কাজের প্রকল্প কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন আহমদ। ওই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে দুই পাশে ছোট-বড় টিলার পাশ খননযন্ত্র দিয়ে কেটে রাস্তা প্রশস্ত করা হয়।

এদিকে টিলা কাটার খবর পেয়ে গত ৪ জানুয়ারি সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সরেজমিনে এসে টিলা কাটার সত্যতা পেয়ে অধিদপ্তরের সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালকের কাছে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন তিনি। পরে পরিচালক ইউপি চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন আহমদ, স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনু মিয়া ও খননযন্ত্রের মালিক স্থানীয় দিলদারপুর গ্রামের বাসিন্দা এলাইছ মিয়ার নামে নোটিশ পাঠান।

এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দপুরে অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে দুই জন (চেয়ারম্যান বাদে) পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হন। এসময় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন এর উপস্থিতিতে তাদের শুনানি হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় তাদের উপর এই জরিমানা আরোপ করা হয় এবং আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জরিমানা পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মৌলভীবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা জানান, সরেজমিন পরিদর্শনে অনুমোদন ছাড়া টিলা কাটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। রাস্তার দুই পাশে ছোট-বড় টিলার গড়ে আট ফুট উচ্চতায় কাটা পড়েছে। রাস্তাটি আগে ছোট ছিল, টিলা কেটে বড় করা হয়েছে। টিলা কাটায় ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। তাই তিনজনকে জরিমানা করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।