এপ্রিলে প্রবাসীরা দেশে পাঠালেন ২০৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা

Published: 2 May 2021

বিশেষ সংবাদদাতা, ঢাকা :


করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন অব্যাহত রয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিল মাসে ২০৬ কোটি ৭০ লাখ (২.০৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত বছরের এপ্রিলের চেয় ৮৯.১১ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে এতো বেশি প্রবৃদ্ধি আগে কখনই হয়নি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দুই হাজার ৬৭ কোটি ২০ লাখ (২০.৬৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অংক গত অর্থবছরের পুরো সময়ের (জুলাই-জুন) চেয়েও ১২.২৩ শতাংশ বেশি। আর গত অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ের চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ (১৮.২০ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। জুলাই-এপ্রিল সময়ে এসেছিল ১৪.৮৬ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে চলতি বছরের ২৪শে ফেব্রুয়ারি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৪.০২ বিলিয়ন বা চার হাজার ৪০২ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল।
এরও আগে ৩০শে ডিসেম্বর দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার, ১৫ই ডিসেম্বর ৪২ মিলিয়ন এবং ২৮শে অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন অতিক্রম করেছিল।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রেমিট্যান্স প্রবাহের হালনাগাদ এই তথ্য জানিয়ে বলেন, এই মহামারির মধ্যেও বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন প্রবাসীরা। আর সেজন্য আমি আবারও আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সবমিলিয়ে আমাদের প্রত্যাশা অর্থবছর শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকবে বলে আশা করেন মন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, করোনা মহামারির মধ্যেও চলতি অর্থবছরের ১০ মাস পার না হতেই রেমিট্যান্স ২ হাজার কোটি (২০ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮.২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। অর্থবছর হিসাবে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ।