জুড়ীতে যুবদল নেতার সাথে আঃলীগের যোগসাজশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল

Published: 14 June 2021

জুড়ী প্রতিনিধি :


মৌলভীবাজারে জুড়ীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃত্ব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড়। দলের বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে ইতিমধ্যে উপজেলা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারই আলোকে কারা আসছেন জুড়ী উপজেলা শাখার নেতৃত্বে এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনায় উপজেলা শহর সরগরম।পাশাপাশি যে বা যাহারা সম্ভাব্য নেতৃত্বে আসতে পারেন তাদের দলীয় আদর্শ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বিএনপি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাথে যোগসাজশের ছবিসহ ঝড় তুলছেন।গত দুই দিনে থেকে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের কিছূ নেতাকর্মীরা তাদের ফেসবুক আইডিতে স্বেচ্ছাসেবকদলের দায়িত্বশীল পদে আসতে পারেন উপজেলা যুবদলের সদস্য আনোয়ার হোসেন মন্জু ও মাতারুল ইসলাম কামরুল এর সাথে আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মী ও স্হানীয় এমপির সাথে পুর্বেকার ছবি ভাইরাল করে ঝড় তুলছেন। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতৃত্ব থেকে তাদেরকে বয়কট করার জন্য ফেসবুকে আহবান করছেন।
ফেসবুকে পোষ্ট প্রদানকারী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সম্রাট আহমদ বলেন, যারা আওয়ামীলীগের দালালী করে তারা যাতে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্বে আসতে পারে সে জন্য আমরা জেলা নেতৃবৃন্দ কে অনুরোধ জানিয়েছি।
জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্রাহ বলেন,বিতর্কিত কোনো নেতা যাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিতে স্হান না পায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামীলীগের নেতার সাথে ছবিগুলো প্রমাণ করে তারা শহীদ জিয়ার আদর্শের কর্মী হতে পারেনা।
জেলা ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক হিমেল হক বলেন,বিএনপি সাথে যারা নামে আছে,কাজে নাই তাদেরকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের দায়িত্ব দেয়া ঠিক হবে না।ভাইরাল হওয়া নেতারা বিএনপির রাজনৈতিক কুটকৌশল আওয়ামীলীগের নিকট পাচার করে।এরা সুবিধাবাদী।দুঃসময়ে দলের পাশে তাদেরকে পাওয়া যায় না।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আছকর বলেন,আমি ভাইরাল হওয়া ছবিগুলো দেখিনাই।তবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃত্বে দলের নিবেদিত কর্মী যারা সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশে আন্দোলন করে হামলা মামলা নিয়ে জেল খেটেছে তাদেরকে মূল্যায়ন করা দরকার।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান আইনুল হক মিনু বলেন,আওয়ামীলীগের নেতার সাথে যদি তাদের যোগসাজশের ছবি থাকে,তাহলে তাদেরকে বয়কট করা উচিত।জেলা বিএনপির সভাপতির কড়া নির্দেশ, আওয়ামীলীগের দালাল যাতে কোনো কমিটিতে স্হান দেয়া না হয়।
ভাইরাল হওয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য আনোয়ার হোসেন মন্জু বলেন,এলাকার একটি সামাজিক অনুষ্টানের ছবিতে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ এস এম জাকির সাহেবের সাথে আমি উপস্হিত ছিলাম।আরেকটি ছবিতে বনমন্ত্রীর সাথে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এডিট করে আমার মাথা বসিয়েছে।আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদককে শুভেচ্ছা জানিয়ে যে ছবি পোষ্ট করা হয়েছে।সেটা আমার আইডি হ্যাক করে কে বা কাহারা করেছে।আমি উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছিলাম।বর্তমানে যুবদলের একজন সদস্য। আমি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে চেষ্টা করছি।