জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে লন্ডনে সমাবেশ

Published: 22 September 2021

সংবাদদাতা :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা সামছুল ইসলাম, জেনারেল সেক্রেটারি ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার সহ সাম্প্রতি গ্রেফতারকৃত ১০ জন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ স্হানীয় এবং বিরোধী দলীয় সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবীতে  লন্ডন ভিত্তিক মানবাধিকার প্লাটফর্ম “হিউম্যান রাইটস এ্যালায়েন্স ইউকে’র উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা মঙ্গলবার আলতাব আলী পার্কে অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের আহবায়ক আব্দুল আলী এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ দেলোয়ার হোসাইন এর উপস্থাপনায়  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইউরোপের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক আইনজীবী ব্যারিষ্টার আবু বকর মোল্লা।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শাসন তান্ত্রিক দৈন্য-দশা সৃষ্টি হয়েছে এবং সাধারণ জনগণের যে অধিকার নষ্ট করা হয়েছে সেই অধিকার রক্ষার জন্য , তাছাড়া বাংলাদেশের সংবিধান,গণতন্ত্র,মানবাধিকার, স্বাধীনতার কমিটমেন্ট -চেতনা রক্ষা করার জন্য আমরা সকল দেশ প্রেমিক জনতা আজকে লন্ডনের ঐতিহাসিক আলতাব আলী পার্কে সমবেত হয়েছি।
বিশেষভাবে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অন্যায় ও হাস্যকর ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাতে। আমরা অনতিবিলম্বে জামায়াত সহ বিরোধী দলের সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।

আমরা আওয়ামী লীগ ও হাসিনা সরকারকে বলে দিতে চাই, সাম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর যে সব শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে এমন তিন জন সাবেক জনপ্রিয় সংসদ সদস্য রয়েছেন যারা ভোট চুরি করেন নাই, ভোট ডাকাতি করে বা বিনা ভোটে  সংসদ সদস্য ছিলেন না বরং জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।  জনগণের ভোটে নির্বাচিত এমন সংসদ সদস্য কিভাবে সরকারকে উৎখাত করতে বা অন্যায় করতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয় ;বলা যায় এটা একটা সম্পূর্ণ হাস্যকর।

জামায়াতের সাথে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সময়  এক সাথে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার ইতিহাস স্মরণ করিয়ে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান জামায়াতের সাথে গণতন্ত্রের জন্য  অসংখ্য সভা-সমাবেশ ও আন্দোলন করেছেন যার অনেক প্রমাণ রয়েছে।

আমরা জানি আপনি ও আপনার প্রশাসন এই হাস্যকর মামলা যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মিথ্যা মামলা তা বিশ্বাস করেন এবং দেশের সাধারন জনগণও তাই বিশ্বাস করেন। তাই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিয়ে জনগণের মাঝে ফিরিয়ে দিন।

ব্যরিষ্টার মোল্লা শেখ হাসিনাকে আপোস করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন,আপনারা জনগণের যে গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছেন সেই ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিন এবং তাদের স্বাভাবিক রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করার অধিকার ফিরিয়ে দিন, বিরোধী দলকে তার রাজনৈতিক অধিকার দিন,গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন, সকল রাজনৈতিক দলকে তার লেভেল ফিল্ড দিন,মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা দিন।

তা যদি না করেন তাহলে শুনে রাখুন পৃথিবীর কোন স্বৈরশাসক ও জালিম সরকার জুলুম -অত্যাচার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি  আপনারাও টিকে থাকতে পারবেন না। যত ষড়যন্ত্র  করেন না কেন ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আপনাদের সকল ষড়যন্ত্র বুমেরাং হবে এবং জনগণ রাজপথে নেমে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে চরম পতন ঘটাবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি জামায়াতের নেতৃবৃন্দের জোরালো মুক্তির দাবী জানিয়ে হাসিনাকে হুশিয়ার করে বলেন, যদি জামায়াত সহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি না দেন তাহলে জনগণ এর দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে ইনশাআল্লাহ।

পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে আগামী দিনের সর্বপ্রকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণের আহবান জানিয়ে এবং বিরোধী দলীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবী জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির সিলেট জেলার সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মুনিম।
ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটসের সভাপতি জাকের আহমদ চৌধুরী,অনলাইন এক্টিভিষ্ট ফোরাম ইউকের সভাপতি মোঃ  জয়নাল আবেদীন, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকের সভাপতি মুসলিম খান, জাসাসের সভাপতি মোঃ বদরুল ইসলাম,হোয়াইট পিজিয়নের সভাপতি মোঃ আলা উদ্দিন ।
এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মুকুল, অনলাইন এক্টিভিষ্ট ফোরাম ইউকের সহ সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম, সাবেক শিবির নেতা সাইফুর রহমান পারভেজ ও ফয়সল আহমদ,মিডিয়া সম্পাদক মোঃ  রায়হান উদ্দিন,সাবেক শিবির নেতা ডাঃ মোঃ জায়েদ হোসেন,
টাওয়ার হ্যামলেটস কেয়ারার এসোসিয়েশনের সভাপতি একে,এম,হেলাল, প্রফেসর আব্দুর রব,
জাস্টিস ফর ভিকটিমের সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোজাক্কির আহমদ, মো: আবু জাফর আবদুল্যাহ
অফিস সম্পাদক ইকুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনাল,
সাবেক শিবির নেতা মোঃ শোয়াইবুর রহমান, মোঃ আমিনুল ইসলাম ও মোর্শেদ আহমদ খান  , নিবাচা’র সহ-সভাপতি বৃন্দ মোঃরায়হান উদদীন, করিম মিয়া, আলী হোসেন, সেক্রেটারী তাহমিদ হোসেন খান,সহ সেক্রেটারী মির্জা আবুল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও হিউম্যানিটি ক্লাব ইউরো-বাংলা’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বুরহান উদদীন চৌধুরী, নিবাচা ওয়েষ্টমিডল্যান্ড শাখার সভাপতি আব্দুস সামাদ খান,সেক্রেটারী মোঃমাহফুজর রহমান,জাস্টিস ফর ভিকটিমের  সহ-সভাপতি মোঃআসয়াদুল হক,নিবাচা’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ আলী, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, মিডিয়া সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন, নিবাচা’র অনান্য দায়িত্বশীল বৃন্দ হলেন আরিফ আহমদ,  মিফতা উদ্দীন,মোঃমাহবুবুর রহমান, আলী উজ্জল, মোঃ আলম আহমদ,মোঃআমিনুল ইসলাম সফর, নিবাচা’র মহিলা সম্পাদীকা ফারিয়া আক্তার সুমি ও তাহমিনা চৌধুরী,  মোঃশাহজাহান আহমদ, নাজির আহমদ,  মোঃফাহাদুজ্জামান,শাহীন আহমদ,  মোঃফরহাদ আলী, ফয়েজ আহমদ, বি,এম,এম,তামজীদ,মোঃ আসিকুর ইসলাম, মানবাধিকার নেতা হাসিবুর রহমান,জালাল আহমদ জিলানী,  ইআরআই সহ সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আহমদ খান,অফিস সম্পাদক মোঃআবু জাফর আবদুল্যাহ,অনলাইন একটিভিস্ট ফোরাম ইউকের নেত্রীবৃন্দের মধ্যে  বক্তব্য রাখেন সমাজ কল্যান সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মোঃজামিল হোসাইন, মোঃআরসাদ আলী,ইউনিভার্সেল ফর হিউম্যান রাইটস, হোয়াইট পিজিয়ন ইন্টারন্যাশনাল এবং   মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোঃহাসান আহমদ,মোঃসুয়াইবুর রহমান, এবাদুর রাহমান, সাইদুর রহমান, ফয়েজ আহমদ, মোঃ আব্দুল কাদের জিলানী, মোহাম্মদ বেলাল আহমদ,মোঃসাইফুর রহমান রাজু,মোঃমকবুল হোসেন,মোহাম্মদ আলীম উদদীন, সালমান আহমদ, ইবাদুর রহমান, মোঃসৈয়দুল ইসলাম, কাজী মোজাম্মেল হুসাইন, শহিদুর রহমান, সাইদুজ্জামান তারেক, ওয়াছি উদদীন, ডাঃমোঃশাহজালাল চৌধুরী, মোঃআবদুর রহমান, মোঃসাহাদাত হোসেন,মোঃমোশাররফ হোসাইন,  শেরওয়ান আলী, মোঃফানটু,নজরুল ইসলাম, রেজাউল করিম, খালেদ হুসাইন,সেবুল আহমদ, সোহেল আহমদ, মঈনুল ইসলাম, মোঃআশফাক আহমদ জবলু,মোঃইউসুফ,মোঃমামুন মিয়া,সালাম হোসাইন,সৈয়দ তারেক রশিদ, লোকমান হোসেন মিনটু,মুহেবুল হাসান, ডাঃ মোঃজায়েদ হোসেন,ফয়সল আহমদ, সায়েক উদদীন, মোঃনাজমুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাছউদুল হাছান,রিয়াজুল হক,মোঃমাহমুদুল ইসলাম, মোঃতানভীর হোসেন সিদ্দিকী, মোঃতারেকুল ইসলাম, মোঃকামরুল হাসান রকিব,তারেক হাসান, হুমায়ুন আহমদ, মোঃআবু তাহের, বুরহান উদদীন, মোঃজিয়াউর রহমান প্রমূাখ।